কেন ৪০ শতাংশ গর্ভবতী আলট্রাসনোগ্রাফি করান?
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০১৯, ০২:৫৫ পিএম
গর্ভবতী নারী। ছবি সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গর্ভাবস্থায় সকল মায়েদেরই নিজের সন্তান নিয়ে খুবই আগ্রহ থাকে। সন্তান ভুমিষ্ঠ হওয়ার আগে পর্যন্ত তাদের আগ্রহের শেষ নেই। গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে? দেখতে কেমন হবে? প্রতিটি মা এই নিয়ে স্বপ্ন দেখেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, ভ্রূণের লিঙ্গ শনাক্তকরণে দেশে আলট্রাসনোগ্রাফির ব্যবহার বেড়েছে। গর্ভবতী ৯৯ শতাংশ মা জানতে পারেন তার কি ছেলে হবে? নাকি মেয়ে হবে? আর এ জন্য ৪০ শতাংশ গর্ভবতী আলট্রাসনোগ্রাফি করান।
বাংলাদেশে জন্মের পূর্বে শিশুর লিঙ্গ নির্বাচনের ক্ষেত্রে লৈঙ্গিক পক্ষপাতিত্ব: কারণ ও ফলাফল অনুসন্ধান’ শীর্ষক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এই গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে গবেষকেরা বলেছেন, দেশে কন্যা ভ্রূণ হত্যার ঘটনা তাদের গবেষণায় ধরা পড়েনি।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিবাহিত নারীদের ছেলেসন্তানের ব্যাপারে দুর্বলতা ২৮ শতাংশ ও মেয়েসন্তানের ক্ষেত্রে তা ১২ শতাংশ।তবে ৬০ শতাংশ নারীর কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই। অধিকাংশ নারীর মধ্যে এই পক্ষপাতহীন মনোভাব গড়ে ওঠার পেছনে গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠানে।
পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষক ও গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক এ কে এম নূরুন নবী গবেষণার প্রেক্ষাপট ও ফলাফল উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, গর্ভকালে লিঙ্গ শনাক্তকরণ প্রযুক্তির ব্যবহার আছে। ১১৫টি ছেলেশিশুর বিপরীতে চীনে ১০০ মেয়েশিশু জন্ম হয়।
এছাড়া ছেলেশিশু বেশি জন্ম নিচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, আজারবাইজান, জর্জিয়ায়। এসব দেশে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য আছে।
গবেষণায় ঢাকা, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, গাজীপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জের ১৫-৪৯ বছর বয়সী ২ হাজার ৬১০ জন বিবাহিত নারীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।
এসব নারীর পাঁচ বছর বা তার কম বয়সী কমপক্ষে একটি সন্তান আছে। এ ছাড়া ৩৪টি সেবা কেন্দ্র, ২১ জন নারী ও ২১ জন স্বামীর বিশেষ সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ৮৮ শতাংশ গর্ভবতী মা বলেছেন, তাদের এলাকাতেই গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ শনাক্তকরণ প্রযুক্তির সুবিধা আছে। ৮৯ শতাংশ নারী বলেছেন, এনজিও চালিত হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এই সুযোগ বেশি পাওয়া যায়।
