Logo
Logo
×

রাজধানী

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শেকৃবি ছাত্রলীগ নেতার নাটক

Icon

শেকৃবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২০, ০৪:৫২ পিএম

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শেকৃবি ছাত্রলীগ নেতার নাটক

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) আবাসিক হলের সিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান দস্তগীরকে মারধরের অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও নাটক বলে দাবি করেছেন একই শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুদ্রনাথ টুটন।
 
মঙ্গলবার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (শেকৃবিসাস) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুদ্রনাথ টুটন এ দাবি করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সোমবার ভোরের মিটিংয়ে মারামারির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। সেই মিটিংয়ে সহ-সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান দস্তগীরকে কোনো প্রকার মারামারি, হাতাহাতি ও আক্রমণ করা হয়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে দস্তগীর এ নাটক করেছে এবং সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এ সব নাটকীয়তার মাধ্যমে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অবস্থান তৈরি করতে চাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুদ্রনাথ টুটন ও তার অনুসারীরা আবাসিক হলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ এবং কল রেকর্ড সাংবাদিকদের দেখানোর মাধ্যমে মুস্তাফিজুর রহমান দস্তগীরের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।

দস্তগীরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে টুটন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সবারই নিজের মতো করে রাজনীতি করার স্বাধীনতা রয়েছে। যে কেউ নিজের পছন্দমতো ব্যক্তির সঙ্গে রাজনীতি করতে পারে। এখানে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।

এ সময় তিনি বলেন, এই নাটকীয় ও বানোয়াট অভিযোগের মাধ্যমে দোস্তগীর ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করেছে। তাই তাকে শেকৃবি ছাত্রলীগের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবি জানাই। এ ছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে শেকৃবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম সাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার শাস্তির দাবিও জানান।

মুস্তাফিজুর রহমান দস্তগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোববার রাতে ক্যাম্পাসের আঞ্চলিক গ্রুপের (কুমিল্লা বঙ্গ) হলের সিট বণ্টনের মিটিং চলাকালে একই আঞ্চলিক গ্রুপের হয়েও কেন আমি (দস্তগীর) সভাপতি গ্রুপের রাজনীতি করি- এমন অভিযোগে আমাকে রাত আড়াইটা থেকে প্রায় ৪ ঘণ্টা রুমে আটকে মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি কাঠ দিয়ে মারধর করে। এ সময় ওই রুমে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে ১৬ ব্যাচের একজন আমাকে প্রথমে পেটে লাথি মারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর ১৪ ব্যাচ, ১৭ ব্যাচ, এবং ১৮ ব্যাচের কয়েকজন আমাকে কাঠ দিয়ে মারধর করে মুখ, হাত ও পেটে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরে অসুস্থ অবস্থায় আমি সোমবার ভোরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।’

হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুস্তাফিজুর রহমান দস্তগীর হাসপাতালে ভর্তি হয় দুপুর ১২টা ৯ মিনিটে।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিব।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম