ছিনতাইকারীদের পিছু নিয়ে রিকশা উদ্ধার করলেন চালক!
পরিবারের একমাত্র আয়ের অবলম্বন ভাড়া চালিত একটি অটোরিকশা। মঙ্গলবার রাতে সেটি পুরান ঢাকার বাদামতলী থেকে ছিনতাই হয়। ওই সময় ছিনতাইকারীদের ধরতে তাদের পিছু নেন চালক সোহান। তাদের পিছু নিয়ে বাদামতলী থেকে মিরপুর ১১ নম্বরের একটি রিকশার গ্যারেজে আসেন তিনি। এরপর পুলিশকে গ্যারেজের ঠিকানা দেন। পুলিশ গিয়ে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রিকশাচালক সোহানের মা সালেহা বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ায় আমার বড় ছেলে সোহান (১৬) ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালায়। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার সময় আমার ছেলে ঢাকা কোতয়ালী থানাধীন ইসলামপুর বাদামতলী রিকশা স্ট্যান্ডে অটোরিকশা নিয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করে। এমন সময় হঠাৎ ৩ জন ছিনতাইকারী যাত্রীবেশে আসে। তারা আমার ছেলের কাছে বাবুবাজার যাওয়ার কথা বলে অটোরিকশায় উঠে।
‘এরপর আমার ছেলে রিকশা নিয়ে বাদামতলী ব্রিজের আগে মিটফোর্ড হাসপাতালের গলির ভেতরে পৌঁছলে ওই ৩ যাত্রী ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে রিকশা থামায়। তারা সোহানের বুকে ছুরি ঠেকায়। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা আমার ছেলের পরিহিত প্যান্টের সামনে ডান পাশের পকেটের মধ্যে মোবাইল কেনার জন্য থাকা নগদ পাঁচ হাজার টাকা ও ৯০ হাজার টাকা মূল্যের অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় আমার ছেলে সোহান বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। আমার ছেলের ডাক চিৎকারে আশপাশের পথচারি লোকজন এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা আমার ছেলেকে ছেড়ে দিয়ে টাকা ও অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়।’
তখন আমার ছেলে সোহানও ঘটনাস্থল থেকে অন্য একটি রিকশায় উঠে ছিনতাইকারীদের পিছু নেয়। মিরপুর ১১ নম্বর মিল্লাত ক্যাম্পের একটি রিকশার গ্যারেজ পর্যন্ত আসে সোহান। ওই গ্যারেজে রিকশাটি লুকিয়ে রাখে ছিনতাইকারীরা। রাতেই ঘটনাটি পল্লবী থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। মিল্লাত ক্যাম্প থেকে রিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে। ছিনতাকারীদে শনাক্ত করা যায়নি। গ্যারেজ মালিককে থানায় ডাকা হয়েছে।
ছিনতাইকারীদের পিছু নিয়ে রিকশা উদ্ধার করলেন চালক!
মিরপুর (ঢাকা) প্রতিনিধি
১৫ মার্চ ২০২৩, ১৯:৪৭:১৭ | অনলাইন সংস্করণ
পরিবারের একমাত্র আয়ের অবলম্বন ভাড়া চালিত একটি অটোরিকশা। মঙ্গলবার রাতে সেটি পুরান ঢাকার বাদামতলী থেকে ছিনতাই হয়। ওই সময় ছিনতাইকারীদের ধরতে তাদের পিছু নেন চালক সোহান। তাদের পিছু নিয়ে বাদামতলী থেকে মিরপুর ১১ নম্বরের একটি রিকশার গ্যারেজে আসেন তিনি। এরপর পুলিশকে গ্যারেজের ঠিকানা দেন। পুলিশ গিয়ে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রিকশাচালক সোহানের মা সালেহা বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ায় আমার বড় ছেলে সোহান (১৬) ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালায়। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার সময় আমার ছেলে ঢাকা কোতয়ালী থানাধীন ইসলামপুর বাদামতলী রিকশা স্ট্যান্ডে অটোরিকশা নিয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করে। এমন সময় হঠাৎ ৩ জন ছিনতাইকারী যাত্রীবেশে আসে। তারা আমার ছেলের কাছে বাবুবাজার যাওয়ার কথা বলে অটোরিকশায় উঠে।
‘এরপর আমার ছেলে রিকশা নিয়ে বাদামতলী ব্রিজের আগে মিটফোর্ড হাসপাতালের গলির ভেতরে পৌঁছলে ওই ৩ যাত্রী ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে রিকশা থামায়। তারা সোহানের বুকে ছুরি ঠেকায়। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা আমার ছেলের পরিহিত প্যান্টের সামনে ডান পাশের পকেটের মধ্যে মোবাইল কেনার জন্য থাকা নগদ পাঁচ হাজার টাকা ও ৯০ হাজার টাকা মূল্যের অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় আমার ছেলে সোহান বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। আমার ছেলের ডাক চিৎকারে আশপাশের পথচারি লোকজন এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা আমার ছেলেকে ছেড়ে দিয়ে টাকা ও অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়।’
তখন আমার ছেলে সোহানও ঘটনাস্থল থেকে অন্য একটি রিকশায় উঠে ছিনতাইকারীদের পিছু নেয়। মিরপুর ১১ নম্বর মিল্লাত ক্যাম্পের একটি রিকশার গ্যারেজ পর্যন্ত আসে সোহান। ওই গ্যারেজে রিকশাটি লুকিয়ে রাখে ছিনতাইকারীরা। রাতেই ঘটনাটি পল্লবী থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। মিল্লাত ক্যাম্প থেকে রিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে। ছিনতাকারীদে শনাক্ত করা যায়নি। গ্যারেজ মালিককে থানায় ডাকা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023