যমুনা ফিউচার পার্কে সমান তালে চলছে বৈশাখ-ঈদ শপিং
সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে আড়ংয়ের বিশাল আউটলেট। সেখানে বিকালে প্রবেশ করতেই দেখা গেল নানা বয়সি মানুষ কেনাকাটায় ব্যস্ত। পোশাকের বিশাল সম্ভার থেকে ছেলেরা পছন্দ করছেন পাঞ্জাবি-ফতুয়া। মেয়েদের পোশাকের ডিসপ্লের দিকে এগিয়ে যেতেই দেখা গেল আরও ভিড়।
শাড়ি, সালোয়ার কামিজের দিকেই আগ্রহ সবার। আরেক পাশে গয়না, শোপিসসহ নানা পণ্য ঘিরেও ভিড়টা কম নয়। শুধু আড়ং নয় যমুনা ফিউচার পার্কের নানা ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর আউটলেটে এখন ক্রেতাদের আনাগোনা বেশ। সেখানে একইসঙ্গে চলছে বৈশাখ ও ঈদের শপিং।
অঞ্জনস’র আউটলেটে প্রবেশ করতেই মনে হলো, যেন চারদিকে ছড়িয়ে আছে বাহারি রং। এখানে সুতি, সিল্ক, জামদানি শাড়ির নতুন কালেকশন এসেছে। যেগুলোর দাম এক হাজার ২০০ থেকে ২০ হাজার টাকা। একই ধরনের কাপড়ের তৈরি সালোয়ার কামিজ দাম পড়বে তিন হাজার ৬০০ থেকে আট হাজার টাকা। সিঙ্গেল কামিজের দাম এক হাজার ২৫০ থেকে দুই হাজার ৯৯০ টাকা। ছেলেদের ফ্যাশনেবল পাঞ্জাবি দাম এক হাজার ৫৫০ থেকে চার হাজার ৯৯০ টাকা। এসব পাঞ্জাবি সুতি ও সিল্ক কাপড়ের। এখানে ফতুয়া পাওয়া যাচ্ছে ৯৯০ থেকে এক হাজার ৪৫০ টাকায়। টিশার্ট বিক্রি হচ্ছে ৫৯০-৯৯০ টাকায়। পোলো শার্ট পাওয়া যাচ্ছে ৯৯০ থেকে এক হাজার ২৯০ টাকায়। হাফ শার্ট কেনা যাবে ৭৫০ থেকে এক হাজার ২৫০ টাকায়।
অঞ্জনস’র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আব্দুল আলিম যুগান্তরকে বলেন, যেহেতু গরমকাল- আমরা এবার মূলত প্রাধান্য দিয়েছি সুতি কাপড়ে। আর মিক্সড ট্রেন্ড বিশেষ করে সাদা ও লালের কম্বিনেশনকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। মাথায় রাখা হয়েছে পহেলা বৈশাখ ও ঈদ দুটোই।
যমুনা ফিউচার পার্কে ইয়েলোর আউটলেটে ফ্যাশনেবল ও টেন্ডি পোশাকের পসরা নজর কাড়বে সবার। এখানে ঈদ ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের পোশাক থরে থরে সাজানো আছে। ইয়েলোতে ছেলেদের পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে দুই হাজার ২০০ থেকে চার হাজার টাকায়। শার্ট পাওয়া যাচ্ছে এক হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার টাকায়। ফতুয়া পাওয়া যাচ্ছে দেড় হাজার থেকে এক হাজার ৯০০ টাকায়। মেয়েদের পোশাকের মধ্যে থ্রি পিসের দাম পড়বে চার হাজার থেকে ছয় হাজার ৫০০ টাকা। ওয়ান পিস এক হাজার ৭০০ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে তিন হাজার টাকায়।
ইয়েলোর আউটলেটে শপিং করতে আসা উত্তরার বাসিন্দা কামরুন নাহার যুগান্তরকে বলেন, যমুনা ফিউচার পার্কে শপিং করতে সব সময় ভালো লাগে। প্রত্যেকটা আউটলেট বিশাল পরিসরে সাজানো। আরেকটি বড় ব্যাপার, এখানে সব ফ্যাশন আউটলেটেই পোশাকের কালেকশন বিশাল এবং সমসাময়িক। সব বয়সিদের জন্য পোশাক পাওয়া যায়। ব্যক্তিগতভাবে ইয়েলোর পোশাক ভালো লাগে। নিজের ও পরিবারের কয়েকজনের জন্য শপিং করেছি।
ইয়েলোর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার কেএম রিদওয়ান যুগান্তরকে বলেন, আমাদের পোশাকের ডিজাইনের ক্ষেত্রে এবার প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ঐতিহাসিক স্থান।
যমুনা ফিউচার পার্ক শনিবার ঘুরে আরও দেখা গেছে- মেট্রো, প্লাস পয়েন্ট, মেনস ওয়ার্ল্ড, আর্টিসান, অক্সিজেন, টর, রেড, বিগ বস, ফ্রিল্যান্ড, ওকাল্ট, জেন্টল পার্ক, একসটাসি, টুয়েলভ, লা রিভ, ট্রাস্ট মার্ট, টিনস ক্লাব, ডানা, সিক্স লাইফ স্টাইল, আরভেসাসহ বিভিন্ন পোশাকের ব্র্যান্ডগুলোর আউটলেটেও ক্রেতাদের আনাগোনা। যে যার পছন্দ অনুযায়ী কিনছেন প্রয়োজনীয় পোশাক।
