মাদরাসায় ১৬বছর চাকরি করা প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দাবি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে মাদরাসা শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সব মাদরাসা জাতীয়করণ, সহকারী শিক্ষকদের ৮ম গ্রেড প্রদান ও চাকরিকাল ১৬বছর পূর্তিতে সব প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশন (বিএমজিটিএ)। একই সঙ্গে তারা মহার্ঘ্য ভাতা ও ঈদুল ফিতরের আগেই শতভাগ উৎসব ভাতা চান।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানায়।
বিএমজিটিএ'র মহাসচিব মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের
সভাপতি জহির উদ্দিন হাওলাদার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষা সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে জাতীয় বেতন স্কেলের অন্তর্ভূক্ত করেছেন, ৫% ইনক্রিমেন্ট দিয়েছে, ২০% নববর্ষ ভাতা দিয়েছে, প্রায় ছয় শতাধিক স্কুল-কলেজ জাতীয়করণ করেছে এবং প্রতি অর্থ বছরেই নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্ত করছেন। কিন্তু এখনও একটি মাদ্রাসাও জাতীয়করণ করা হয়নি। তাই স্কুল-কলেজের আনুপাতিক হারে মাদ্রাসা জাতীয়করণের জোর দাবি জানান তারা।
এছাড়া ২০০৪ সালে শিক্ষকদেরকে ২০% ও কর্মচারীদেরকে ৫০% উৎসব ভাতা দেয়ার নিয়ম চালু হওয়ার পর ১৯ বছর পার হলেও খণ্ডিত উৎসব ভাতার পরিবর্তন হয়নি। তাই ঈদুল ফিতরের আগেই শিক্ষক- কর্মচারীদেরকে শতভাগ উৎসব ভাতা দেয়ার মানী জন ।
সংবাদ সম্মেলনে জহির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, বর্তমানে সব নিত্যপণ্যের নাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের জীবনযাপন কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বর্তমান বেতন নিয়ে কারও মাস চলছে না। তাই শিক্ষক -কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদানের দাবি জানাই।
বিএমজিটিএ'র পক্ষ থেকে এসব দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএমজিটিএ'র মহাসচিব মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন দুই মাসব্যাপী ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলুল বারী বেলাল, ড. মো. মোখলেছুর রহমান শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ড.মুহা. জাকির হোসেন, আব্দুল আহাদ সিদ্দিকী, মো. সামসুল কবির শাহীন, মো. হোসনি মোবারক, তাসলিমা মুন্নি, হুমায়ূন তালুকদার, আব্দুল কাদের জনি, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো. ওয়ালিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মো. আমজাদ হোসেন, আঃ হালিম, মো. আলী নুর হোসেন, মো. আব্দুল মালেক, মো. গোলাম মোস্তফা, মো. আবু আহমেদ, মাসুদা সুলতানা, মো. আলী আটম, সিঃ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক গুল মো. মাহবুবুল্লাহ, মো. আল-আমিন সরকার, নুরুল আমিন শিশির, মো. ফারুক রশিদ, মো. মজিবুর রহমান, পরিকল্পনা সম্পাদক সালেহ উদ্দিন জিন্নাহ, নাসির উদ্দিন, অর্থ-সম্পাদক খোরশেদ কবির মাসুদ, দফতর সম্পাদক আরিফ ইমাম, প্রচার সম্পাদক রাফি উদ্দিন শাহীন, প্রকাশনা সম্পাদক মো. মোস্তাক আহমেদ, মো. জাকির হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হক, মো. শফিকুল ইসলাম ফকির, মো. মশিউর রহমান, মো. ওবায়দুর রহমান, মো. ইমদাদুল হক, মো. জহিরুল ইসলাম, নেকবর হোসেন রঞ্জু প্রমুখ।
