পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা, ছাত্রলীগ পরিচয় পেয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় আটক হন দুজন। পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার রাত ২টার দিকে হাতিরঝিলের বেগুনবাড়ি অংশের মাস্টারের ঢাল থেকে তাদের আটক করা হয়। শনিবার সকাল ১০টায় তাদের ছেড়ে দেওয়া। আটকের পর পুলিশের কাছে তারা ছাত্রলীগ নেতা হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন।
তবে পুলিশ বলছে, ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক এবং ছাত্রলীগের পরিচয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। ঘটনার ভুক্তভোগী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
আটক হওয়া দুজন হলেন ফেরদৌস হাওলাদার ও শাকিল আহম্মেদ। এদের মধ্যে ফেরদৌস নিজেকে রাজধানীর রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও শাকিল কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রত্যাশী বলে জানান।
ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে হাতিরঝিল দিয়ে বাসায় ফেরার পথে ইশারা দিয়ে তাদের মোটরসাইকেল থামান ওই দুজন। এরপর পুলিশের মতো করে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। শরীর তল্লাশি করে মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
অভিযোগ করতে হবে জানিয়ে ভুক্তভোগীদেরও থানায় ডাকা হয়। সারা রাত তাদের থানায় বসিয়ে রাখা হয়। এরপরেও অভিযোগ না করে ভুক্তভোগীরা চলে যান। এ সময় আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়েই ছেড়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে দুই অভিযুক্তের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, আটক দুজন ছাত্রলীগের নেতা সেটা ঠিক আছে। কিন্তু পুরো ঘটনাটিই একটি ভুল বোঝাবুঝি। এখানে কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে থানায় আসার পর কোনো পক্ষের অভিযোগ না থাকায় দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীদের থানায় বসিয়ে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু ঘটনাটি অনেক রাতের, তাই তখন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ ছিলেন না। এজন্য তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল।
পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা, ছাত্রলীগ পরিচয় পেয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
যুগান্তর প্রতিবেদন
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:০৫:১০ | অনলাইন সংস্করণ
ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় আটক হন দুজন। পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার রাত ২টার দিকে হাতিরঝিলের বেগুনবাড়ি অংশের মাস্টারের ঢাল থেকে তাদের আটক করা হয়। শনিবার সকাল ১০টায় তাদের ছেড়ে দেওয়া। আটকের পর পুলিশের কাছে তারা ছাত্রলীগ নেতা হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন।
তবে পুলিশ বলছে, ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক এবং ছাত্রলীগের পরিচয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। ঘটনার ভুক্তভোগী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
আটক হওয়া দুজন হলেন ফেরদৌস হাওলাদার ও শাকিল আহম্মেদ। এদের মধ্যে ফেরদৌস নিজেকে রাজধানীর রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও শাকিল কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রত্যাশী বলে জানান।
ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে হাতিরঝিল দিয়ে বাসায় ফেরার পথে ইশারা দিয়ে তাদের মোটরসাইকেল থামান ওই দুজন। এরপর পুলিশের মতো করে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। শরীর তল্লাশি করে মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
অভিযোগ করতে হবে জানিয়ে ভুক্তভোগীদেরও থানায় ডাকা হয়। সারা রাত তাদের থানায় বসিয়ে রাখা হয়। এরপরেও অভিযোগ না করে ভুক্তভোগীরা চলে যান। এ সময় আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়েই ছেড়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে দুই অভিযুক্তের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, আটক দুজন ছাত্রলীগের নেতা সেটা ঠিক আছে। কিন্তু পুরো ঘটনাটিই একটি ভুল বোঝাবুঝি। এখানে কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে থানায় আসার পর কোনো পক্ষের অভিযোগ না থাকায় দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীদের থানায় বসিয়ে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু ঘটনাটি অনেক রাতের, তাই তখন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ ছিলেন না। এজন্য তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023