হিরোশিমা দিবস পালন
ব্ল্যাকফ্লেইম থিয়েটারের ‘দ্যা ডার্ক হিস্ট্রি' মঞ্চায়ন

যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০১৮, ১১:২৬ পিএম

‘নো মোর হিরোশিমা-নো মোর নাগাসাকি, এ ট্র্যাজেডি নেভার টু বি রিপিটেড’ স্লোগানে ‘জাপান বাংলা পিস ফাউন্ডেশন’ এর আয়োজনে উদযাপিত হলো ‘হিরোশিমা দিবস-২০১৮’।
রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সোমবার অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হিরোশিমা-নাগাসাকি ট্রাজেডির ঘটনা অবলম্বনে ‘ব্ল্যাকফ্লেইম থিয়েটার, ঢাকা’ এর প্রযোজনা-৩ নকশা মূকাভিনয় “দ্যা ডার্ক হিস্ট্রি” এর উদ্বোধনী মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রযোজনাটি নির্দেশনা দিয়েছেন তানভীর শেখ। ইয়াছিন আরাফাতের একক পরিবেশনায় এ প্রযোজনা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন রেজাউল মাওলা নাবলু। এছাড়াও সঙ্গীত প্রক্ষেপন, মেক-আপ, ও নেপথ্যে ছিলেন যথাক্রমে হৃদয়, অমিত, রাসেল, মোবাল্লেগ, মিরাজ ও ফারজানা ইয়াসমিন প্রমুখ।
'বিনোদনে নান্দনিকতা' স্লোগানে প্রতিষ্ঠিত ব্ল্যাকফ্লেইম থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক তানভীর শেখ বলেন, ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে প্রতিদিনের মতো যখন সমস্ত শ্রমিক কাজের জন্য যে যায় কর্মস্থলে যোগদান করেছে ঠিক তখনই জাপানের হিরোশিমা ও তার ৩ দিনপর ৯ই আগস্ট জাপানের আরেকটি শহর নাগাসাকিতে পারমাণবিক হামলার ঘটনা ঘটে।
সেই হামলার সময় সাধারণ মানুষের জীবনচিত্র, আতঙ্ক, বোমা বিস্ফোরণের ভয়াবহতা চিত্রিত করা হয়েছে এতে। সর্বোপরি সেই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে যুদ্ধবিরোধী সচেতনতা এবং সর্বোপরি সেইরকম ভয়াবহ ট্রাজেডি যেন পৃথিবীতে আর কখনো পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই আবেদনের প্রক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে ব্ল্যাকফ্লেইম থিয়েটার প্রযোজনা-৩ নকশা মূকাভিনয় “দ্য ডার্ক হিস্ট্রি। যার ব্যাপ্তিকাল ছিল ১১টা ৩০ মিনিট।
অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল নাট্যজন কামাল বায়জিত নির্দেশকের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
এদিকে ‘হিরোশিমা দিবস-২০১৮' আয়োজনের প্রথম পর্বে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে যুদ্ধ ও পারমাণবিক অস্ত্র বিরোধী আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি।
আলোচনা অনুষ্ঠানে হিরোশিমা-নাগাসাকি ট্রাজেডির ভয়াবহতা সামনে রেখে যুদ্ধবিরোধী মূলবক্তব্য প্রদান করেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আই টি আই) এর সান্মানিক সভাপতি জনাব রামেন্দু মজুমদার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাপান বাংলা পিস ফাউন্ডেশনের মহাসচিব ডা. কায়েম উদ্দিন। এছাড়াও এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব আব্দুল মান্নান ইলিয়াস, জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের মহাসচিব জনাব তারেক রাফি ভূইয়া, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল নাট্যজন কামাল বায়জিত, নাট্যজন ঝুনা চৌধুরী ও নাট্যজন গোলাম কুদ্দুস, বিবেক বার্তার সম্পাদক পি আর প্লাসিড, পটশিল্পী টাইগার নাজির এবং সর্বোপরি এ আয়োজনের সভাপতিত্ব করবেন ‘জাপান বাংলা পিস ফাউন্ডেশন' এর প্রেসিডেন্ট জনাব হুমায়ুন কবির সুইট।
এ আয়োজনে সমাজসেবায় জনাব আলহাজ মো. শাহজাহান চৌধুরী লিটন এবং সাংবাদিকতায় জনাব ফিরোজ মান্না প্রথমবারের মতো ‘জাপান বাংলা পিস ফাউন্ডেশন' প্রবর্তিত ‘জেবিপিএফ পিস এ্যাওয়ার্ড-২০১৮’ গ্রহণ করেন। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি তাঁদের হাতে সন্মাননা স্মারক তুলে দেন।
সবশেষে বাংলাদেশে বসবাসরত জাপানিজ নাগরিকদের সংগঠন “বাজনা বিট” এর বিশেষ পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন মায়ে ওয়াতানাবে ও সুনসুকে মিজুতানি।