Logo
Logo
×

রাজধানী

সহকর্মীকে গুলির পর যা বলেছেন পুলিশ কনস্টেবল কাউসার

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৪, ০২:৩৭ এএম

সহকর্মীকে গুলির পর যা বলেছেন পুলিশ কনস্টেবল কাউসার

এ ঘটনার জেরে ডিপ্লোমেটিক জোনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে গুলিতে মনিরুল ইসলাম নামের এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালকও। 

এ ঘটনায় কাউসার নামের আরেক পুলিশ কনস্টেবলকে হেফাজতে নিয়েছে গুলশান থানা-পুলিশ।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম বলেন বলেন, শনিবার দিবাগত রাত ১২টা পাঁচ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ কনস্টেবল কাউসারের এলোপাতাড়ি গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল নিহত হন। 

এ ছাড়া জাপান দূতাবাসের একজন গাড়িচালক (সিভিল স্টাফ) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ফিলিস্তিন দূতাবাসের এক নিরাপত্তা রক্ষী বলেন, ঘটনার সময় আমরা দূতাবাসের ভিতরে ছিলাম। হঠাৎ করে রাত ১১ টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি শব্দ শুনে আমরা বাহিরে আসি। বাইরে আসার পর কাউসার কে দেখি ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আর একটু দূরেই পড়ে রয়েছে মনিরুলের মরদেহ। তখন আমরা কাউসারকে জিজ্ঞেস করি কি হয়েছে। তখন সে বলে শালা (মনিরুল) নাটক করতেছে এমনি মাটিতে পড়ে রয়েছে। 

এই কথা বলে কাউসার দূতাবাসের বিপরীত পাশে রোডে চলে যায়।এরই মধ্যে সবাই বুঝে উঠে যে কাউসার মনিরুলকে গুলি করেছে। এর পরপরই ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা কাউসারকে আটক করে।

ঘটনাস্থলে সরজমিনে গিয়ে নিহত পুলিশ সদস্যের নিথর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। গুলশান-বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনের সামনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম রয়েছে। তাদের সঙ্গে মোতায়েন রয়েছেন ঘটনাস্থলে সোয়াট সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।


 

সহকর্মী গুলি পুলিশ কনস্টেবল কাউসার

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম