এসএমই ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভা
এসএমই খাতের উন্নয়নে বাজেটে বরাদ্দ জরুরি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫, ০৩:১৩ এএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের উন্নয়নে নীতিসহায়তা এবং আগামী অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে ইতোমধ্যে ১৪০টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
ইআরএফের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চেৌধুরী ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক সভাপতি সামিম আহমেদ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপমহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম।
মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, ২০০৭
সালে এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। এ প্রতিষ্ঠানের সরাসরি সুবিধাভোগী প্রায় দুই লাখ
ও পরোক্ষ সুবিধাভোগী প্রায় ২০ লাখ উদ্যোক্তা। তবে ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক জরিপ অনুসারে
দেশের এক কোটি ১৮ লাখ উদ্যোক্তার তুলনায় এই হার খুবই কম। পাশাপাশি এসব উদ্যোক্তার
প্রায় ৭০ ভাগ ঢাকার বাইরে। কিন্তু এসএমই ফাউন্ডেশনের ঢাকার বাইরে কোনো কার্যালয় নেই।
এ অবস্থায় দেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে আরও বেশি উদ্যোক্তাকে ঋণের আওতায় আনা, এসএমই
নীতিমালা ২০২৫ বাস্তবায়ন এবং এসএমই খাত ও উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে কর্মসূচি বাস্তবায়নে
প্রতি অর্থবছরের বাজেটে এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে নিয়মিত অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন। সেই
সঙ্গে আগামী অর্থবছরের বাজেটে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ জরুরি।
মূল প্রবন্ধে এসএমই ফাউন্ডেশনের
মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন
বলেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে এসএমইবান্ধব (ট্যাক্স, ভ্যাট ও ট্যারিফ সংক্রান্ত)
প্রস্তাব তৈরির লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৩৪টি অ্যাসোসিয়েশন এবং পঁাচটি
গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পঁাচটি পরামর্শ সভা ও একটি কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক আনোয়ার হোসেন চেৌধুরী বলেন, দেশের জিডিপিতে সিএমএসএমই খাতের অবদান উন্নত
দেশগুলো এমনকি প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায়ও অনেক কম। পাকিস্তানে এই হার ৪০ শতাংশ,
শ্রীলংকায় ৫২, চীনে ৬০, ভারতে ৩৭। বাংলাদেশে এই হার দেশের প্রত্যাশার তুলনায় খুবই কম।
২০১৩ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুসারে বাংলাদেশের সিএমএসএমই উদ্যোক্তা ৭৮ লাখ ১৩ হাজারের
বেশি।
