বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ছিলেন দেশের শিল্প বিপ্লবের অগ্রদূত
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ০৪:৩১ এএম
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দেশের শিল্প খাতের অগ্রদূত, সফল স্বপ্নসারথি, অর্থনীতির আইকন, আপসহীন উদ্যোক্তা যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, যুগান্তর ও যমুনা টিভির স্বপ্নদ্রষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোরবার রাতে রাজধানীর উত্তরা ক্লাবে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় নুরুল ইসলামের পরিবারের সদস্য, স্বজন ছাড়াও তৈরি পোশাকশিল্পবিষয়ক ‘আরএমজি’ শিল্প উদ্যোক্তাগণও উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণসভায় যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও যুগান্তরের প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম কর্মবীর নুরুল ইসলামের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম শিল্প বিপ্লবের অগ্রদূত। তিনি দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে সারা জীবন কাজ করে গেছেন। আজ হাজার হাজার মানুষ তার করা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করছেন। করোনা প্রতিরোধসহ দেশের যে কোনো বিপর্যয় রোধে যমুনা গ্রুপ সহযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে। সাহসী শিল্পোদ্যোক্তা নুরুল ইসলাম স্বাধীনতাপরবর্তী দেশকে স্বাবলম্বী করতে মানুষদের কর্মসংস্থান তৈরির জন্য যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছেন। নিজের মেধা, সততা, পরিশ্রম ও সাহসিকতার সঙ্গে একের পর এক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তার এই অবদান অভিবাদনযোগ্য। পাশাপাশি দেশপ্রেমিক এই কর্মবীর নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। তার গড়া এ শিল্পপ্রতিষ্ঠান এখন তারই সুযোগ্য সন্তানরা পরিচালনা করছেন। বাবার আদর্শে সন্তানরা দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। আপনারা আমার সন্তানদের জন্য দোয়া করবেন। আমার সন্তানরা যেন দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারেন।
এ সময় স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন যমুনা গ্রুপের এমডি শামীম ইসলাম, যমুনা গ্রুপের পরিচালক মনিকা ইসলাম, পরিচালক শেখ মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ, সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম, তানিয়া মেহনাজ ইসলাম, মো. কামরুল ইসলাম ও মো, জাকির হোসেন।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল, চিত্রনায়িকা বর্ষা ও যমুনা গ্রুপের পরিচালক (মার্কেটিং, সেলস অ্যান্ড অপারেশন্স) ড. মোহাম্মদ আলমগীর আলম। এ ছাড়া তৈরি পোশাকশিল্পবিষয়কের (আরএমজি) শিল্প উদ্যোক্তা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
যমুনা শিল্প পরিবার দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে ১৯৭৫ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন শিল্প, উৎপাদন ও সেবা খাতে বিশেষ করে বস্ত্র খাতের টেপটাইলের স্পিনিং, নিটিং, ডায়িং, হাইটেক ফ্যাব্রিপ, গার্মেন্ট, টয়লেট্রিজ, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিপ, বেভারেজ, যমুনা ফিউচার পার্ক শপিংমল, ফাইভস্টার হোটেল (জেডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেল), বিনোদন পার্ক, অটোমোবাইলস, কেমিক্যাল, লেদার, রিয়েল এস্টেট সেক্টর, হাউজিং, টায়ার অ্যান্ড রাবার, প্রিন্টিং ও পাবলিশিং (দৈনিক যুগান্তর), ইলেকট্রনিক মিডিয়া (যমুনা টিভি) ইত্যাদি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে দেশের আর্থসামাজিক ও শিল্প খাতে বিশাল অবদান রেখে চলেছে।
বর্তমানে যমুনা গ্রুপ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের নেতৃত্বে তার সুযোগ্য সন্তানরা যমুনা গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের অসমাপ্ত স্বপ্ন দ্রুত বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
