ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে চলছে স্বস্তির ঈদ কেনাকাটা। ক্রেতার এই আনন্দ আরও বাড়াতে শপিংমল কর্তৃপক্ষ ‘ঈদ বাজার’ উৎসবের আয়োজন করেছে। যেখানে একই ছাদের নিচে মিলছে ১৫শর বেশি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড। ঐতিহ্যবাহী পোশাক থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক্স, এক্সেসরিজ, জুতা, পারফিউম, হোম ডেকরের সঙ্গে থাকছে আরও অনেক কিছু। ফ্যাশন, লাইফস্টাইল এবং টেক ক্যাটাগরিতেও থাকছে বিশেষ ছাড় ও আকর্ষণীয় অফার। বিকাশ, নগদ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং ব্যাংক কার্ডে কেনাকাটায় রাখা হয়েছে ক্যাশব্যাক ও ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট অফার। যা ঈদের কেনাকাটাকে আরও সাশ্রয়ী ও আনন্দদায়ক করে তুলেছে।
এদিকে দিনভর কেনাকাটা শেষে রসনা তৃপ্তিতে ফুডকোর্টে লোভনীয় মজাদার খাবারও রয়েছে। শিশুদের জন্য রয়েছে ফিউচার ওয়ার্ল্ড। যেখানে সুযোগ রয়েছে মন ভরে মাতামাতির। প্লেয়ার্স ক্লাবে আড্ডার সঙ্গে নানা ধরনের খেলাধুলার আয়োজন রাখা হয়েছে। সবশেষে সিনেমা দেখে খুশি মনে সবাই ফিরছেন বাড়ি। সব মিলিয়ে যমুনা ফিউচার পার্কে আসা সবাই ঈদের আগেই যেন ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন।
মঙ্গলবার শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের কেনাকাটা করতে যমুনায় ভিড় করেছেন। অধিকাংশ ক্রেতাই আগেভাগে সপরিবারে আসছেন ঈদের কেনাকাটা করতে। সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ করা গেছে পোশাকের দোকানগুলোয়। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন অনেকে। দেশি-বিদেশি সব ব্র্যান্ড একসঙ্গে থাকায় এক শোরুম থেকে আরেক শোরুম ঘুরে কিনছেন পোশাক। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিশাল এ শপিংমলে ভিড় থাকলেও পর্যাপ্ত জায়গা থাকায় ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারছেন। এক ছাদের নিচ থেকে পোশাক ছাড়াও গহনা, কসমেটিক্স, ক্রোকারিজ, জুতা, পারফিউমসহ সব ধরনের পণ্য সংগ্রহ করছেন তারা। ইনফিনিটি, অঞ্জন’স, আড়ং, কান্ট্রি বয়, টপ টেনসহ বিভিন্ন পোশাকের ব্র্যান্ড ও শপগুলোয় প্রচুর ক্রেতা সমাগম দেখা গেছে।
-6835f5aab8a7f.jpg)
রাজধানীর বনানী থেকে যমুনা ফিউচার পার্ক শপিংমলে এসেছিলেন নাসরিন ইসলাম। স্বামী-সন্তান নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই ঈদের কেনাকাটা শেষ করেন। তিনি যুগান্তরকে বলেন, দুই ছেলের পছন্দের পোশাক কিনতে রাজধানীর কয়েকটি শপিংমলে ঘুরেছি। কিন্তু সেগুলোতে পছন্দের পোশাক মেলাতে পারিনি। তাই আজ এসেছিলাম যমুনা ফিউচার পার্কে। অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেদের পছন্দের পোশাকগুলো নিয়েছি। এক জায়গায় সবকিছু পেয়েছি বলে কষ্ট অনেক কম হয়েছে। পাশাপাশি ছেলেরা এখানে এসে অনেক আনন্দ পেয়েছে। পরিবারের সবাই একটা ভালো দিন কাটিয়েছি।
দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে মাটিকাটা থেকে ঈদের শপিং করতে যমুনায় এসেছেন হামিদুর রহমান। তিনি বলেন, প্রতি ঈদে যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে কেনাকাটা করি। এবারও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছি এবং পছন্দের পোশাক কিনেছি। অন্য বছরের তুলনায় এবার আরও আকর্ষণীয় পোশাক পেয়েছি। এছাড়া পরিবার নিয়ে ভালো একটা সময় কাটানো যায়। খাওয়া-দাওয়া, মুভি দেখাসহ সন্তানদের বিনোদনের সুযোগ রয়েছে যমুনা ফিউচার পার্কে। তাই সব সময় এখানেই আসা হয়।
ধানমন্ডি থেকে ফিউচার পার্কে আসা নাজমুল বলেন, ঈদ এলেই নিয়মিত যমুনায় আসা হয়। এখানে দেশের নামিদামি সব ব্র্যান্ডের দোকান রয়েছে এবং সব এক ছাদের নিচে। তাই কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। বারবার এখানেই আসি। এছাড়া শপিং করার আগে বন্ধুরা মিলে প্লেয়ার্স ক্লাবে বোলিং খেলেছি। ভালো লেগেছে।
যমুনা বিল্ডার্সের পরিচালক (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) ড. আলমগীর আলম বলেন-পরিবার, বন্ধু এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্যই ‘ঈদ বাজার’ আয়োজন করা হয়েছে। এই ঈদে আপনার একক গন্তব্য হোক যমুনা ফিউচার পার্ক। যেখানে প্রতিটি মুহূর্তে থাকছে ঈদের উৎসবের ছোঁয়া।
