রাজধানীর ডেমরায় কালোবাজারি চক্রের গুদামে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার তিন চোরাকারবারিকে বৃহস্পতিবার বিকালে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

তারা হলেন- কালোবাজারী চক্রের সক্রিয় সদস্য রাশেদ, হোসেন ও মেহেদী হাসান।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভোররাতে ডেমরা থানায় গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে ডেমরা থানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আমুলিয়া মডেল টাউন এলাকায় পারভেজের গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সরকারি ন্যায্য মূল্যের (ওএমএস) চাল, আটা ও তেল মজুত ও বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে গুদামে সংরক্ষণের অভিযোগে সংঘবদ্ধ ওই কালোবাজারি চক্রের বিরুদ্ধে এ অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী ও ডেমরা থানা পুলিশ। 

অভিযানে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পারভেজ ও সবুজসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জন পলাতক রয়েছেন। এ সময় ৫টি ট্রাকসহ বিপুল পরিমাণ সরকারি খাদ্যপণ্য জব্দ করা হয়। 

ডেমরা থানার ওসি মাহমুদুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ওই গুদামে অভিযান শুরু করে। এ সময় ১২৯০টি ৫০ কেজির চালের বস্তা, ৭০টি ৩০ কেজির চালের বস্তা, প্রায় ২০০ আটার বস্তা (মোট ওজন প্রায় ১২,০০০ কেজি), ১৭টি ২৫ কেজির ডালের বস্তা, ৭৫ পিস ২ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল, ১০টি খালি প্লাস্টিক তেলের ড্রাম, ৫টি ট্রাক ও ৪টি প্যাকেজিং সেলাই মেশিন, ২টি ওজন মাপার ডিজিটাল মেশিনসহ বিপুল পরিমাণ আলামত উদ্ধার করা হয়। বস্তাগুলোর ওপর লেখা ছিল সরকারি বিতরণ ব্যবস্থার বাইরে বিক্রি সম্পূর্ণ অবৈধ।

ওসি বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে সরকারি খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করে গুদামে এনে প্যাকেট, লোগো ও ব্র্যান্ড পরিবর্তন করে বেশি দামে বিক্রি করে।  গ্রেফতার আসামিরা কালোবাজারি চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং সরকারি মালামাল অবৈধভাবে মজুত ও বাজারজাত করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে।