কবে খুলবে নগর ভবনের তালা, যা জানালেন ডিএসসিসি প্রশাসক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০১:২৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন তার কর্মী-সমর্থকরা। একইসঙ্গে তারা নগর ভবনের মূল ফটকসহ বেশ কয়েকটি ভবনে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে রেখেছে অনেকদিন ধরে। যার ফলে সব ধরনের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নাগরিকরা।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলেছেন দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া। তিনি বলেন, চলমান এ আন্দোলনে সেবাগ্রহীতাদের সমস্যা হচ্ছে। যেভাবেই হোক নাগরিক সেবাদান সচল রাখতে তারা চেষ্টা করছেন।
তবে তিনি নগর ভবন খুলে দেওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, নগর ভবনের তালা খুলে দেওয়ার বিষয়টি ‘রাজনৈতিক ও সেনসেটিভ’।
নগর ভবনে তালা থাকায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ প্রস্তুতিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘১৮ দিন সিটি করপোরেশন বন্ধ ছিল। আমাদের প্রস্তুতিতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। তবে সেই ত্রুটি আমরা অন্যভাবে ম্যানেজ করে নিয়েছি। সিটি করপোরেশনের সবাই এখন প্রস্তুত। তারা প্রতিবছরই বর্জ্য অপসারণে সার্ভিস দেয়। জনগণের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে এবারও সবাই কাজে যোগ দেবেন। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।’
নগরভবন কবে খুলবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি উত্তর দিতে চাই না। এটি রাজনৈতিক বিষয়, সেনসেটিভ বিষয়, আইনগত বিষয়।’
নগর ভবনের তিনটি দপ্তর অফিস করতে পারছে জানিয়ে প্রশাসক আরও বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ভাণ্ডার এবং পরিবহণ- এ তিনটি বিভাগ ঈদ আয়োজনের সঙ্গে জড়িত। এ বিভাগগুলো কাজ করতে পারছে। কাজেই এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘আমি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। আমি সচিবালয়ে অফিস করছি। আমার কর্মকর্তারা আমার কাছে আসেন, প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা নেন। আমাদের সমস্যা হচ্ছে না।’
দক্ষিণ সিটির সেবাগ্রহীতাদের জন্মনিবন্ধনে সমস্যা হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ড অফিসগুলো খোলা আছে। তারা সেখান থেকে সেবা নিতে পারছেন। তবে কিছুটা সমস্যা তো হচ্ছেই। আমরা ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।’
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) চলমান কর্মসূচিতে গিয়ে ইশরাক হোসেন ঘোষণা দেন, ‘ঈদ উপলক্ষ্যে জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে নগরভবন অবরোধ বা ঘেরাওয়ের যে কর্মসূচি সেখানে কিছুটা শিথিল ও বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকার শপথের মাধ্যমে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিলে ছুটির পর আরও কঠোর আন্দোলন করবে ঢাকাবাসী।’
