Logo
Logo
×

রাজধানী

তীব্র গরমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে স্বস্তি

ঈদের ছুটিতে লোকারণ্য যমুনা ফিউচার পার্ক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম

ঈদের ছুটিতে লোকারণ্য যমুনা ফিউচার পার্ক

শহরে ঈদ ছুটি উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের পছন্দের শীর্ষে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক। সুবিশাল পরিসর ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যমুনা ফিউচার পার্ক তীব্র গরমে দর্শনার্থীদের স্বস্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। ফুডকোর্টে বাহারি খাবারের সঙ্গে বসে আড্ডা। এন্টারটেইনমেন্ট জোনে খেলাধুলা, সিনেমা দেখা ও বিভিন্ন রাইড উপভোগে ছিল ভিড়। এছাড়া ঈদ ঘিরে বাড়তি আনন্দ যোগ করে কনসার্ট ও পাপেট শো। ঈদ বোনাঞ্জা ক্যাম্পেইন ঘিরে আনন্দের কোনো কমতি নেই। 

ঈদের দিন থেকে লোকারণ্য যমুনা ফিউচার পার্ক। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে আগতরা আনন্দে মেতেছেন। মা-বাবার হাত ধরে আসে পরিবারের ছোট সদস্যরাও।

একই ছাতার নিচে বহুমুখী আয়োজনে ঈদের আগের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতার ভিড়ে সরগরম ছিল শপিং কমপ্লেক্স। ঈদের দিন থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বিনোদনপ্রেমীরা ঈদ বিনোদন উপভোগ করতে যমুনায় ভিড় করেন। ফুডকোর্টে বাহারি খাবারের আয়োজনের সঙ্গে শিশুদের ফিউচার ওয়ার্ল্ডেও চোখে পড়ার মতো ভিড় ছিল। এছাড়া প্লেয়ার্স ক্লাবে বিলিয়ার্ড, বোলিং খেলে ঈদ আনন্দ উপভোগ করেন অনেকে। সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল ব্লকবাস্টার সিনেমায়। টিকিট পেতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে সিনেমাপ্রেমীরা। সাতটি হলে পাঁচটি শোতে মোট ১৩টি সিনেমা দেখানো হয়। সবকটিতেই দর্শকদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। পাশাপাশি ঈদ ঘিরে শপিংমলের ফুডকোর্টে চলছে ঈদ বোনাঞ্জা ক্যাম্পেইন। যেখানে নির্দিষ্ট প্রোমো কোড ব্যবহারে আগত দর্শনার্থীরা পাচ্ছেন ১৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক অফার। এছাড়া ফুডকোর্ট থেকে এক হাজার টাকার কেনাকাটা করলে একটি কুপন দেওয়া হয়। র‌্যাফেল ড্র করে প্রথম পুরস্কার হিসেবে ফ্রিজ, দ্বিতীয় পুরস্কার ওভেন ও তৃতীয় পুরস্কার ব্লেন্ডার দেওয়া হবে। সঙ্গে ঈদের পরদিন থেকে তিন দিনব্যাপী ফুডকোর্টে কনসার্ট হয়। আর ঈদের পরদিন ফিউচার ওয়ার্ল্ডে ছিল ম্যাজিক শো ও পাপেট শো।

আজিমপুর থেকে সপরিবারে যমুনা ফিউচার পার্কে ঘুরতে আসা আহসান হাবিব যুগান্তরকে বলেন, রাজধানীতে পরিবারের সবার জন্য বিনোদন কেন্দ্রের খুবই অভাব। এখানে মন খুলে ঈদের ছুটি উপভোগ করার মতো কোনো জায়গা নেই। তবে যমুনা ফিউচার পার্কে একটু স্বস্তি পাই। সুবিশাল পরিসর ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ থাকায় তীব্র গরমে কোনো অনুবিধা হয় না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিবার নিয়ে ভালো সময় কাটানোর যায়। মুভি দেখা, পরিবারের সবাই একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করা, ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য বিভিন্ন রাইডে চড়ার ব্যবস্থা একমাত্র যমুনা ফিউচার পার্কেই আছে। এছাড়া শপিংমলের বাইরেও সুবিশাল সবুজ পরিবেশ আছে। যেখানে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে হাঁটাচলা করা যায়। ছেলেমেয়েরাও একটু দৌড়ঝাঁপ করতে পারে। সব মিলে শহরে ঈদ আনন্দ উপভোগের জন্য একটি শ্রেষ্ঠ জায়গা যমুনা ফিউচার পার্ক।

ফিউচার ওয়ার্ল্ডে মা-বাবার সঙ্গে ঘুরতে আসা মালিহা (৯) জানায়, ঈদে বাবার অফিস ছুটি। তাই বাবা আমাদের নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছে। আমিও বাবাকে বলেছিলাম ফিউচার ওয়ার্ল্ডে নিয়ে আসতে। এখানে খেলছি। বিভিন্ন রাইডে চড়েছি। ভিডিও গেমিং করেছি। আমার খুব ভালো লাগছে।

প্লেয়ার্স ক্লাবে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তানিয়া যুগান্তরকে বলেন, ঈদের পর বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। বরাবরের মতো সবাই সিদ্ধান্ত নিলাম- যমুনা ফিউচার পার্কে আসার। প্লেয়ার্স ক্লাবে বোলিং খেলছি। শেষ হলে ফুডকোর্টে গিয়ে সবাই খাব। সেখানে জম্পেশ আড্ডা দেব। এরপর সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরব।

রাজধানীর ধানমন্ডি-১০ থেকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে যমুনা ফিউচার পার্কে আসা সালাউদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, রাজধানীর পার্কগুলোতে ঘোরাফেরার মতো পরিবেশ নেই। এক্ষেত্রে যমুনা ফিউচার পার্কই একমাত্র ব্যতিক্রম। একদিকে শপিংমল ও অন্যদিকে রাজধানীবাসীর জন্য বিনোদনকেন্দ্র। এখানে পরিবারের সব বয়সিরা নিজেদের সময় করে উপভোগ করতে পারেন। তাই সবাইকে নিয়ে ঈদের ছুটিতে যমুনা ফিউচার পার্কে আসা। তিনি আরও বলেন, বাচ্চাদের ফিউচার ওয়ার্ল্ডে বিভিন্ন রাইডে চড়ানোর পরে প্লেয়ার্স ক্লাবে বোলিং খেলছে। ফুডকোর্টে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করব। বাড়ি যাওয়ার আগে সিনেমা দেখব।

যমুনা বিল্ডার্সের পরিচালক (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) ড. আলমগীর আলম জানান, প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্যই আমরা ‘ঈদ বাজার’ আয়োজন করেছিলাম। কেনাকাটা থেকে শুরু করে খাবার ও বিনোদন ছিল সবার জন্য আনন্দ ও উদ্যাপনের পূর্ণতা। পাশাপাশি ঈদ ছুটি ঘিরে শপিংমলের পক্ষ থেকেও নানা ধরনের আয়োজন করা হয়। ব্লকবাস্টার সিনেমাসে সিনেমার আয়োজন, ফুডকোর্টে বাহারি খাবার, প্লেয়ার্স ক্লাব ও ফিউচার ওয়ার্ল্ডে বিভিন্ন খেলাধুরা ও রাইড উপভোগের ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলে দর্শনার্থীদের আস্থার জায়গা করে নিতে পেরেছে যমুনা ফিউচার পার্ক। প্রতিটি মুহূর্তে থাকছে ঈদের উৎসবের ছোঁয়া।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম