Logo
Logo
×

রাজধানী

মুগদা হাসপাতাল

বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, প্রস্তুত করোনা ওয়ার্ড

Icon

সবুজবাগ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম

বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, প্রস্তুত করোনা ওয়ার্ড

রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালের ১০ম ও ৮ম তলায় সম্প্রতি স্থাপন করা ডেঙ্গু ওয়ার্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আটজন রোগী ভর্তি হয়েছে। মোট ভর্তি আছেন ৪১ জন।

ঢাকায় যতগুলো সরকারি হাসপাতাল আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী মুগদায়। কারণ এই হাসপাতালের আশপাশের মানুষ জনই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। 

মঙ্গলবার হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪১ জন রোগী। তাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, ১৪ জন মহিলা, শিশু ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে। 

জানুয়ারি থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৯১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন সাতজন। প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

নন্দীপাড়া এলাকা থেকে সরনা (২৪) ডেঙ্গু ওয়ার্ডে আছেন। তার সঙ্গে মা রুবিনা খাতুন বলেন গত ৫ দিন ধরে জ্বর ছিল। গতকাল রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গু পজিটিভ আসার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। পুরুষ ওয়ার্ডে মুরাদ চক্রবর্তী দাউদকান্দি কুমিল্লা থেকে আসেন। গত পাঁচ দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন এখন অনেকটাই সুস্থ।

হাসপাতালের পুরুষ ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রোগীর নির্ধারিত শয্যা ১০০টি। মহিলা ডেঙ্গু ওয়ার্ডে শয্যা রয়েছে ৯০টি।

মুগদা জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু ওয়ার্ডে এখনো অনেক বেড রেডি রয়েছে। এই প্রাণঘাতী ডেঙ্গু থেকে সকলের সচেতনতায় রক্ষা হতে পারে।

করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজধানীর মুগদা হাসপাতাল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শনিবার (১৪ জুন) হাসপাতালে চালু হয়েছে করোনা কর্নার।

মুগদা জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ১৫ জন এর করোনা টেস্ট হয়। ১৫ জনই নেগেটিভ আসেন। হাসপাতালে তিনতলায় ২৬ বেড পুরুষ ও ২৪ বেড মহিলা। ৫০ বেডের কোভিড আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রয়েছে। ২০টি আইসিইউ প্রস্তুত রয়েছে।

কোভিড টেস্টের জন্য প্রাথমিকভাবে অধিদপ্তর থেকে ৩শ আরটিপিপিআর, ৬ হাজার রেপিট অ্যান্টিজেন্ট কিট দিয়েছে।

এছাড়া অধিদপ্তরে ডেঙ্গু ও করোনার জন্য ৫০ জন মেডিকেল অফিসার বা সমমানের অফিসার। ২০ জন কনসালটেন্ট চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম