বিশেষজ্ঞদের হুঁশিয়ারি
ভূমিকম্প ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, প্রস্তুতি নেই পর্যাপ্ত
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ এখনো একটি বড় ধরনের ভূমিকম্পের জন্য প্রস্তুত নয়—যদিও ভূমিকম্পের ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে। সম্প্রতি মিয়ানমার ও নেপালে পরপর কয়েকটি ভূমিকম্প এই অঞ্চলের জন্য এক ভয়াবহ সতর্কবার্তা হয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) ও বাংলাদেশ আর্থকোয়েক সোসাইটির যৌথ আয়োজনে এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার বিকাল ৫টায় রাজধানীর রমনায় আইইবি সদর দফতরের সেমিনার কক্ষে এটির আয়োজন করা হয়। এতে দেশি-বিদেশি ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীরা অংশ নেন।
সেমিনারে প্রধান
অতিথির বক্তব্যে আইইবি প্রেসিডেন্ট ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান
প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম (রিজু) বলেন, ‘আমরা ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে বাস করলেও
তা নগর নকশা, ভবন নির্মাণ বা জনসচেতনতায় যথেষ্ট প্রতিফলিত হচ্ছে না। ভূমিকম্প প্রতিরোধে
এখনই সময়োপযোগী পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন দরকার।’
তিনি বলেন,
শুধু ঢাকায় নয়—চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও ভূমিকম্পপ্রবণ
এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকায় ভবন নির্মাণে বিশেষ সতর্কতা ও আইনি বাধ্যবাধকতা
নিশ্চিত করতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন—বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. তাহমিদ এম. আল-হুসেইনী। তিনি বলেন,‘ঢাকার মাটি মূলত নরম ও অবিচল নয়। ভূমিকম্প হলে এমন মাটিতে নির্মিত অনেক ভবন ধসে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। প্রায় ৭০ ভাগ ভবনের নকশায় ভূমিকম্প প্রতিরোধের বিষয়টি উপেক্ষিত।’
অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গির আলম বলেন, রাজধানীর বহু সরকারি ভবন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ভূমিকম্প সহনীয় কোনো ব্যবস্থা নেই। এসব ভবনের রেট্রোফিটিং (পুনর্গঠন) এখনই জরুরি।
এশিয়ান ইনস্টিটিউট
অব টেকনোলজি, থাইল্যান্ড থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্ট্রাকচারাল
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর পেনাং ওয়ারনিটচাই।
তিনি বলেন,
‘ডেটা সংগ্রহ, ভূমিকম্পন বিশ্লেষণ ও সেন্সরভিত্তিক পূর্বাভাস ব্যবস্থায় বাংলাদেশকে
এগোতে হবে।’
বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান।
সেমিনারে মুক্ত
আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন—আইইবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. সাব্বির মোস্তফা
খান, প্রকৌশলী এম. আব্দুল আউয়াল, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক এম. এ. আনসারি, আব্দুল
লতিফ খান ও ড. আলী আকবর মল্লিক প্রমুখ।
