Logo
Logo
×

রাজধানী

রাজধানীতে ২ নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

Icon

হাজারীবাগ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ১১:৫৯ পিএম

রাজধানীতে ২ নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর কদমতলী ও কলাবাগান পৃথক এলাকায় দুই নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতদের নাম কারিনা (২৩) ও রুনা আক্তার মিম (২৫)। উভয় ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের ইঙ্গিত মিললেও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়না তদন্তের জন্য লাশ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা এবং পৌনে ১টায় এই দুটি ঘটনা ঘটে।

নিহত কারিনা কেরানীগঞ্জের মুরাদপুর এলাকার ইকবাল হোসেনের মেয়ে। স্বামী শহিদুল ইসলামের সঙ্গে তিনি রাজধানীর কদমতলী এলাকার কাছাল্লা মসজিদ সরকার রোডের একটি ছয়তলা ভবনের ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন।

কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোসাম্মৎ ফেরদৌসী জানান, রাতে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান এবং সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় কারিনার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন। পরে লাশটি আইনি প্রক্রিয়া শেষে শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর সঙ্গে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে কারিনা রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেকক্ষণ কোনো সাড়া না পেয়ে স্বজনেরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

অন্যদিকে, কলাবাগান এলাকার একটি ছয় তলা ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে রুনা আক্তার মিম (২৫) নামের এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রুনা কেরানীগঞ্জে স্বামী সজিব রহমানের সঙ্গে বসবাস করতেন। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি কিছুদিন আগে বাবার বাড়ি কলাবাগানে চলে আসেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অজয় কুমার কুন্ডু জানান, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় রুনার লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর লাশটি আইনি প্রক্রিয়া শেষে শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, রুনা রাতে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

দুই ঘটনায়ই পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে এবং মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন অপেক্ষায় রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম