যুবদল নেতার চাঁদাবাজির জন্য ব্যবহৃত ওয়াকিটকিসহ বড় ভাই আ.লীগ নেতা গ্রেফতার

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১:১৫ পিএম

ফাইল ছবি
ফলো করুন |
|
---|---|
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বহিষ্কৃত যুবদল নেতা চাঁদাবাজির জন্য ব্যবহৃত ওয়াকিটকিসহ তার আপন বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। শুক্রবার ভোরে মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত জাহিদ হোসেন মোড়ল ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় তিনি তার বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। এছাড়াও, তার আপন বড় ভাই দেলেয়ার হোসেন ঢাকা মহানগর ৩২ নম্বর ওয়ার্ড লালমাটিয়া বয়েজ ইউনিট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করতেন। কেউ চাঁদা না দিলে এসব নেতাকর্মীকে ছোট ভাই জাহিদ মোড়ল ও তার বাহিনীর লোকজন দিয়ে হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলা করিয়েছে। এছাড়াও, ছোট ভাই জাহিদ মোড়লের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন বাড়ি ও দোকানপাট দখল করাতেন।
সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক বিগ্রেডের এক কর্মকর্তা জানান, জাহিদ মোড়লের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং নিউজ মিডিয়াতেও বিভিন্ন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। শুক্রবার ভোর রাতের দিকে জাহিদ মোড়লকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে তার বাসায় যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। এ অভিযানে জাহিদ মোড়লকে পাওয়া যায়নি। তবে তার আপন বড় ভাই আওয়ামী লীগের নেতা দেলোয়ারকে পাওয়া যায়। যিনি ঢাকা মহানগর উত্তর ৩২নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদে আছেন। তাছাড়া দেলোয়ারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
আরও জানায়, দেলোয়ারকে গ্রেফতারের সময় তার চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত দুটি ওয়াকিটকি সেট ও চারটি ওয়াকিটকির ব্যাটারি ও চার্জার পাওয়া যায় যা লাইসেন্স বিহীন। উক্ত ওয়াকটকিগুলো জাহিদ মোড়ল ও দেলোয়ার এর বাহিনীরা নিরাপদ তথ্য আদান-প্রদানে ব্যবহার করত। ওয়াকিটকি ও তার রিপিটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিটিআরসির লাইসেন্স ও অনুমোদন নিতে হয়। যার কোনোটিই তার কাছে ছিল না। গ্রেফতার আসামি দেলোয়ারকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।