বনানীতে সিএনজি চালকদের অবরোধ
তীব্র যানজটে চরম দুর্ভোগ
ঢাকা জেলায় নিবন্ধিত সিএনজি অটোরিকশা মহানগরীতে চলাচলের দাবি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয় এবং সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা। বিক্ষোভকারীরা বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশার রুট নির্ধারণের দাবিতে তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের গাড়ি ঢাকা জেলায় নিবন্ধিত হলেও মহানগরীতে চলাচলের সুযোগ পায় না। জেলার অন্য স্থানের মতো নগরে চলাচলের দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে এলেও সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অটোরিকশাচালকরা বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় বিআরটিএ ভবনের দুই গেট বন্ধ করে দেন তারা। বেলা ১১টার দিকে দুটি গাড়ি বিআরটিএ ভবন থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও বের হতে দেওয়া হয়নি। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সড়কে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। এতে বিমানবন্দর সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপে ৫ ঘণ্টা পর বনানীর সড়ক ছাড়েন অটোরিকশাচালকরা। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সকাল থেকে চলা এই বিক্ষোভে কাফনের কাপড় পরে অনেক সিএনজিচালক অবরোধে অংশ নেন। তবে তারা সড়ক অবরোধ করলেও অ্যাম্বুলেন্স ও বিমানবন্দরগামী জরুরি গাড়িগুলো ছেড়ে দেন।
ট্রাফিক গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. জিয়াউর রহমান জানান, অবরোধের কারণে বিমানবন্দর সড়কের দুপাশেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ চেষ্টা করেছে। বেলা ৩টার দিকে সড়কের উত্তরাগামী অংশ ছেড়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। এতে কিছুটা ভোগান্তি কমে আসে।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার বলেন, অটোরিকশার চালকরা বনানী এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। আমরা বিক্ষোভকারী এবং বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, এটা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত। মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে সিদ্ধান্ত এলে বোঝা যাবে।
বিক্ষোভরত চালক নূরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী আমলে মাসিক চুক্তিতে টাকার বিনিময়ে পুলিশ আমাদের গাড়িগুলো ঢাকা মহানগরের মধ্যে ঢুকতে দিত। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ‘ঢাকা-থ’ সিরিয়ালের গাড়ি মহানগরের মধ্যে ঢুকলে মামলা দেওয়া হয়।
মালিক-শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি জুয়েল মালতীয়া বলেন, ‘ঢাকা জেলার ২ থেকে ৩ হাজার গাড়ি (সিএনজি) মহানগরে চালানোর জন্য বারবার স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু বিআরটিএ বারবার আমাদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে। ২০১৬ সালে আমাদের ২৬টি ইউনিয়ন কেটে নিয়ে ওয়ার্ড বানিয়েছে। মহানগর বড় বানিয়েছে। তাহলে আমরা যাব কোথায়। এখন আমার জায়গায় আমাকে বলে অবৈধ। আজ (রোববার) আমরা বিআরটিএ ঘেরাও করেছি। বিআরটিএ-এর একটি লোককেও বাইরে বের হতে দেব না। কারণ, এরাই রাষ্ট্রের দুষ্টুলোক। এরা ঘুস খেয়ে এ ধরনের কাজ করে।’
