|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজধানীর বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম বেড়েছে। এরমধ্যে সব থেকে বেশি চড়া ছিল কাঁচা মরিচের দাম। তবে সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা কমেছে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ। আগের থেকে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে মরিচ।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর খিলক্ষেত, নয়াবাজার ও কারওয়ানবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।
খিলক্ষেত কাঁচা বাজারের বিক্রেতারা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে শাকসবজি তোলায় সমস্যা হচ্ছে। তাই সরবরাহ কমায় সবজির দাম কিছুটা বেশি। এর কারণে বেড়েছিল কাঁচা মরিচের দাম। গত দুই দিন আগে থেকে কিছুটা কমেছে মরিচের দাম।
কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা রসেল বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে অনেক জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সবজির সরবরাহ কম।’
তবে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে কাঁচা মরিচের বাজারে। বর্তমানে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫০ টাকার ওপরে। বিক্রেতারা জানান, আমদানি হওয়ায় মরিচের দাম কমেছে। আরও কমতে পারে দাম।
রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পটোল ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, কচুর মুখী ৫০ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, কাকরোল ৪০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, ধনেপাতা ১০০ টাকা এবং টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
এদিকে বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০-১৬০ টাকা। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।
মুরগি কিনতে আসা ক্রেতা জানান, ‘প্রতিদিনই কিছু না কিছুর দাম বাড়ছে। কমতির দিকে থাকা ব্রয়লারও এখন ১৭০ টাকা।’
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে খিলক্ষেত বাজার করতে আসা রেজাউল করিম রাডার বলেন, ঈদুল আজহার পর থেকে সব ধরনের সবজির দাম চড়া। কিছুদিন আগে হঠাৎ সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকে আর দাম কমছে না। আসলে সাধারণ ক্রেতাদের স্বার্থে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা উচিত, কিন্তু এই উদ্যোগ কখনোই নিতে দেখা যায়নি। ফলে বিক্রেতারা যেমন ইচ্ছা তেমন দাম আদায় করছে সাধারণের কাছ থেকে। আজ এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনলাম ৯০ টাকায়।
অন্যদিকে গরু ও খাসির মাংসের দামে তেমন পরিবর্তন নেই। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়, খাসির মাংস এক হাজার ২০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস এক হাজার ১০০ টাকায়।
চালের বাজারেও নতুন করে দাম বাড়েনি। আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চালের কেজি ৮২-৮৫ টাকা, নাজিরশাইল ৮৫-৯২ টাকা এবং মোটা চাল ৫৬-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে ইলিশের দাম চড়া। মাছ বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি করছি ২২০০ টাকায়। এছাড়া ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৬০০-১৮০০ টাকা, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৪০০-১৫০০ টাকা, আর দেড় কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৮০০ টাকা।’
আর চাষের রুই কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৮০-২২০, পাঙাশ ১৮০-২৩৫, কৈ ২৮০-৩০০ এবং পাবদা ও শিং ৪০০-৫০০ টাকায়।

