শাপলা চত্বরে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের গণজমায়েত
জঙ্গি নাটক সাজানো বন্ধসহ পাঁচ দাবি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইসলামপন্থিদের হয়রানিমূলক জঙ্গি নাটক সাজানো বন্ধ করাসহ পাঁচটি দাবি জানিয়েছে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ। অন্য দাবিগুলো হলো- আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচার প্রক্রিয়া বেগবান, আলেপসহ প্রসাশনের সকল খুনি ও ধর্ষকদের দ্রুত বিচার, ইসলামবিরোধী সংস্কার বাতিল এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় অবিলম্বে বন্ধ করা।
মঙ্গলবার রাজধানী মতিঝিলের শাপলা চত্বরে দিনব্যাপী বিশাল গণজমায়েতে এসব দাবি জানানো হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গৌরবময় অর্জন রক্ষা, শহীদদের স্মরণ এবং ইসলামপন্থিদের প্রতি চলমান বৈষম্যের প্রতিবাদে এই গণজমায়েতের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ, দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, কবি-সাহিত্যিকসহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা।
গণজমায়েতে সভাপতিত্ব করেন ইন্তিফাদা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মীর ইদরীস। বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আহমাদ রফিক, আসিফ আদনান, ডা. মেহেদী হাসান, ডা. শামসুল আরেফীন শক্তি, জাকারিয়া মাসউদ, সৈয়দ মুহাম্মাদ আমির।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আলেম মুফতী ফখরুল ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতী শরিফুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুস্তফা মনজুর, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসুদ, মাওলানা রিদওয়ান হাসান, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা তানজিল আরেফিন আদনান, মাওলানা ইমরান রায়হান, রাফিউজ্জমান, মাওলানা ফুআদ মুবতাসিম, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিট্রিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে এ ভূখন্ডের সকল গণআন্দোলনে ইসলামপন্থি জনতা রক্ত দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানেও ইসলামপন্থিরা ব্যাপক অবদান রেখেছিল। কিন্তু আফসোসের বিষয় গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে জনপরিসর থেকে ইসলামকে বাদ দেওয়ার একটা সচেতন প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে। সংস্কার কমিশনগুলোও ধর্মীও ও সামাজিক মূল্যবোধবিরোধী নানা এজেন্ডা নিয়ে হাজির হয়েছে।
বক্তারা হতাশা প্রকাশ করেন বলেন, ভারতের আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত হয়ে আমেরিকান আধিপত্যবাদ কবুল করেছে ইন্টেরিম সরকার। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ জানান তারা। তাছাড়া, গণঅভ্যুত্থানের স্টেইকহোল্ডারদের নামে মিথ্যা জঙ্গি মামলা সাজানোর প্রতিবাদ জানান তারা।
শাপলা চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিকাল পৌনে ৫টায় মিছিল করে তারা চলে যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে। পরবর্তীতে বায়তুল মোকাররমে আসরের নামাজ শেষে গণজমায়েত সমাপ্ত করা হয়।
