ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে কফিশপে ভাঙচুরের অভিযোগ
ভাটারা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫১ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলীর অভিযানে রাজধানীর গুলশানে সাংবাদিক মুনজুরুল করিমের কফিশপ ‘ওরোমো’-তে ভাঙচুর ও মালামাল জব্দের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে গুলশান-২ এর ল্যান্ডমার্ক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক ও কফিশপটির অংশীদার মুনজুরুল করিম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে অভিযোগ করেন, গুলশানের ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে দীর্ঘদিন ধরে চলা ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো অক্ষত থাকলেও নিয়ম মেনে পরিচালিত বৈধ কফিশপে হঠাৎ অভিযান চালানো হয়েছে।
তিনি লেখেন, ‘গুলশান-২ এর রংপুর চায়ের দোকান ও বার্গার কিং-এর গলিপথ পুরোপুরি দখল হয়ে গেছে। অথচ সেসব উচ্ছেদে কোনো উদ্যোগ নেই। কিন্তু সব নিয়ম মেনে ব্যবসা করা একটি কফিশপেই অভিযান চালানো হলো। এর পেছনে ব্যক্তিগত স্বার্থ বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে।’
যোগাযোগ করা হলে মুনজুরুল করিম যুগান্তরকে জানান, ছয় বছর ধরে তিন পার্টনার মিলে দোকানটি সুনামের সঙ্গে চালাচ্ছেন। দোকানের মালিকও এ ব্যবসার অংশীদার। তিনি অভিযোগ করেন, ‘ওরোমোর আশপাশে অবৈধ দোকান থাকা সত্ত্বেও সেগুলো উচ্ছেদ হয়নি, বরং বৈধ দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে এবং সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।’
কফিশপের আরেক পার্টনার ও জমির মালিক আসলাম বিশ্বাস বলেন, ‘দুই যুগ ধরে বৈধভাবে মার্কেটের পজিশন কিনে ব্যবসা করছি। দোকানটি অবৈধ নয়, আবার ফুটপাতেও নয়। তবুও কোনো নোটিশ ছাড়াই অভিযান চালানো হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী যুগান্তরকে জানান, ‘এটি সিটি করপোরেশনের নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রমের অংশ। শুধু ওরোমো নয়, গুলশানের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। তাদের কিছু মালামাল ফুটপাতে ছিল, সেগুলো সরানো হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ওরোমোর সামনে থাকা একটি বড় শেড বৈধ কাগজ দেখাতে পারলে টিকে থাকবে, অন্যথায় সেটিও অপসারণ করা হবে। তবে অভিযান কতটি প্রতিষ্ঠানে চালানো হয়েছে এবং কত টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে—সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত হিসাব দিতে পারেননি। এ বিষয়ে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে তথ্য নেওয়ার পরামর্শ দেন।
অন্যদিকে, আসলাম বিশ্বাস দাবি করেন, দোকানের সামনে থাকা জায়গা সিটি করপোরেশনের নয়, বরং মার্কেটের নিজস্ব জমি। ‘সেই অংশেই মালামাল ও শেড রাখা হয়েছে। আগেও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, পরে তা সমাধান হয়। কিন্তু এবারের অভিযান নিয়মবহির্ভূতভাবে হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশপাশের অনেক ভবনেই স্থায়ী শেড দেওয়া রয়েছে। এগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এছাড়া প্রতিদিন বিকেল থেকে সড়ক দখল করে ব্যবসা চললেও কর্তৃপক্ষের তেমন পদক্ষেপ চোখে পড়ে না।
