নেপালে অনুষ্ঠিত বিলিয়ন মার্কেটস ওয়ার্ল্ডওয়াইড বিজনেজ এক্সপ্যানশন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
উদ্যোক্তা শাকিব উদ্দিন এখন অনেক তরুণের অনুপ্রেরণা। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এক গ্রাম থেকে জীবন বদলের স্বপ্ন নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন শাকিব। সেখানে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় প্রফেশনাল মার্কেটিংয়ের নানা বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেন। নিজের অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘গ্লোবাল ট্রেড’ নামের মার্কেটিং এজেন্সি।
দুবাইয়ে গিয়ে নিজেকে গড়তে তিনি সময় নিয়েছেন। বছরের পর বছর নিজে শিখেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং, ট্রেডিং ও বিজনেস ব্র্যান্ডিংয়ের খুঁটিনাটি। একসময় সেই অর্জিত অভিজ্ঞতা নিয়েই প্রতিষ্ঠা করেন ‘গ্লোবাল ট্রেড’ নামের একটি আন্তর্জাতিক মার্কেটিং এজেন্সি। আজ এই এজেন্সির মাধ্যমেই তিনি যুক্ত আছেন বিশ্বের জনপ্রিয় সব কোম্পানির সঙ্গে।
সম্প্রতি নেপালের নাগরকোটে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ‘গ্লোবাল ট্রেড’ এর সিস্টার্স কনসার্ন Billion Markets এর ওয়ার্ল্ড এক্সপ্যানশন। Billion Markets’র একটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড বিজনেজ প্রোগ্রাম। Billion Markets ওয়ার্ল্ডওয়াইড বিজনেজ প্রোগ্রাম’র এই রাজসিক প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন নেপালের সাবেক পরিবেশমন্ত্রী।
Billion Markets’র পরবর্তী এর ওয়ার্ল্ড এক্সপ্যানশন হতে যাচ্ছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াতে।
বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তা মো.শাকিব উদ্দিন ব্যবসায়িক সাফল্য ও অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১২ ডিসেম্বর ছিলো শাকিব উদ্দিনের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। এ দিন আরব আমিরাতের প্রথম শ্রেণির গণমাধ্যম ছিলো শাকিবময়। আরব আমিরাতের প্রথম শ্রেণির সব জাতীয় দৈনিকে শোভা পেয়েছে শাকিবের সাফল্যগাথা। এর ভেতর উল্লেখযোগ্য দৈনিক হলো: খালিজ টাইমস, খালিজ টাইমস উর্দু, গালফ নিউজ, গ্লোবালি নিউজ ২৪, ইএই নিউজ।
বাংলাদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রাম হতে শূন্য হাতে পাড়ি জমিয়েছিলেন দুবাই। চোখে ছিল স্বপ্ন, বুকভরা সাহস। সেদিন কিছুই ছিল না শাকিব উদ্দিনের হাতে; ছিল শুধু এক বুক স্বপ্ন আর পরিবর্তনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা। দীর্ঘ সংগ্রাম আর অধ্যবসায়ের পথ পেরিয়ে আজ তিনি যিনি গড়ে তুলেছেন মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা।
ফলে আজ একজন শাকিব সফল মার্কেটিং উদ্যোক্তা। যে তরুণ উদ্যোক্তা লক্ষ-কোটি তরুণের মনে স্বপ্নের বীজ বুনে চলে আপন কর্মগুণে। শুধু তাই নয়, রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ফ্ল্যাট বিক্রির মার্কেটিং পার্টনার হিসেবেও রয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
শাকিব উদ্দিন বলেন, শুরুর সময়টা অনেক কঠিন ছিল। বুঝে উঠতে পারছিলাম না, কোথা হতে আরম্ভ করব। ধৈর্য ধরে শিখেছি, কাজ করেছি। ১২ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে; এখন গর্ব করে বলতে পারি, আমি একজন সফল মার্কেটার।
বর্তমানে দুবাইপ্রবাসী এই উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন হাজারো প্রবাসীর অনুপ্রেরণা। তিনি মনে করেন, গ্রামের ছেলে হয়েও বিশ্বজয় সম্ভব—শুধু প্রয়োজন পরিশ্রম, দক্ষতা আর সঠিক পথচলার মানসিকতা।
দুবাই সরকার তার ব্যবসায়িক দক্ষতা,বিনিয়োগ,আর্থিক অবদান এবং স্থায়ী কর্মকাণ্ড বিবেচনায় তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার সম্মানসূচক দীর্ঘমেয়াদি আবাসিক ভিসা প্রদান করেছেন। এই গোল্ডেন ভিসাধারীরা পাঁচ থেকে দশ বছর পর্যন্ত আরব আমিরাতে বসবাস, কাজ ও বিনিয়োগের সুযোগ পান।
শাকিব উদ্দিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমিরাতে দ্রুত প্রসার লাভ করেছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এছাড়া তার ব্যবসার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য রেমিট্যান্স বাংলাদেশে পাঠানো হয়, যা দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছে।
ব্যবসার পাশাপাশি শাকিব উদ্দিন বাংলাদেশি অনেক কর্মীকে তার প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দুবাইয়ে দীর্ঘদিনের সুনাম ও সাফল্যের ভিত্তিতে পাওয়া এই গোল্ডেন ভিসা শাকিব উদ্দিনের ব্যক্তিগত অর্জনের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্যও গর্বের বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
