ইউনিসেফের আন্তর্জাতিক কাউন্সিলে বালাদেশ থেকে প্রথম যুক্ত হলেন তারা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২২, ০৫:৪৯ এএম
আঞ্জুমান এন্ড আজিজ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট (এএসিটি) বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া শিশু যাদের মধ্যে অনেকেই করোনাকালীন সময়ে স্কুল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল, তাদের শিক্ষায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আঞ্জুমান এন্ড আজিজ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের (এএসিটি) ট্রাস্টিগণ, মুহাম্মদ আজিজ খান, আঞ্জুমান আজিজ খান, ডঃ হ্যান্স কেন্ডেল এবং ডঃ ক্রিশ্চিয়ান প্রোকপ, ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল, ইউনিসেফ ডিরেক্টর অফ প্রাইভেট ফান্ডরেইসিং এন্ড পার্টনারশীপ কার্লা হাড্ডাদ মার্দিনী, বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট এবং ইউনিসেফের ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিলর চেয়ার মারিয়া আল্স্ট্রম-বন্ডেস্টাম কোপেনহেগেনে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে - তারাই ইউনিসেফের আন্তর্জাতিক কাউন্সিলে প্রথম কাউন্সিল সদস্য যারা বাংলাদেশ থেকে যোগদান করলেন।
“প্রত্যেকটি শিশু হলো ভবিষ্যৎ, যদি আমরা ভবিষ্যৎ চাই তাহলে আমাদের শিশুদের সক্ষম করতে হবে শিক্ষার মাধ্যমে। শিক্ষা - শুধু শিশু অধিকার নয়, এটা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য আবশ্যক।” বলেন সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এবং আঞ্জুমান এন্ড আজিজ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট -এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার মুহাম্মদ আজিজ খান। আমাদের ঢাকা দক্ষিণে এই সহায়তার অনুপ্রেরণা ছিল মুহাম্মদ আজিজ খানের ব্যবসা শুরুর দিনগুলো থেকে, যখন তিনি ঢাকার চকবাজার এবং উর্দু রোডে কাজ করেছেন।
“খান (পরিবারের) এই উদার এবং অসাধারণ অবদান শিশু অধিকার ও প্রয়োজনের প্রতি তাদের অঙ্গীকারের সাক্ষ্য। ইউনিসেফ আঞ্জুমান এন্ড আজিজ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের এই অনুদানের জন্য কৃতজ্ঞ, যা দেশের বহু সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে।“ বলেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।
ইউনিসেফের ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিলে আছেন বিশ্বের অনন্য প্রভাবশালী এবং নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়িক পরিবার যারা তাদের নিজস্ব তহবিল, প্রভাব এবং দক্ষতা দিয়ে বিশ্বের শিশুদের সাহায্য করেন। খান পরিবারকে ইউনিসেফ ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিলের ২০২২ সালের অক্টোবরে ডেনমার্কে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সম্মেলনে স্বাগত জানানো হয়। কোপেনহেগেনে খান পরিবারকে সরাসরি দেখানো হয় ইউনিসেফের গুদামের বিশাল কর্মযজ্ঞ এবং কীভাবে জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষা ও কিশোর-কিশোরীদের কিটসহ বিভিন্ন সাহায্য বিশ্বজুড়ে সরবরাহ করা হয়।
আঞ্জুমান এন্ড আজিজ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সহায়তায় ইউনিসেফ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩,৪ এবং ৫ জোনে ৩,০০০ স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া শিশুকে (ইউনিসেফের) বিশেষায়িত শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করবে। এই এলাকাগুলোতে দেশের সর্বোচ্চ স্কুল বহির্ভূত শিশু থাকে, যেখানে প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে একজন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।
ইউনিসেফ এই শিশুদের বিশেষ পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদান করে যাবে, যতদিন না তারা মূলধারার স্কুলে নিয়মিত অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে -- প্রাইমারি স্কুল পাশ করে বা নিজ ক্লাসের পড়া বুঝতে সক্ষম হয়। আনুমানিক ৫,০০০ অভিভাবক এবং কমিউনিটি আউটরীচ প্রোগ্রাম এই কার্যক্রমের মাধ্যমে উপকৃত হবে।