প্রতিদিন ৪ হাজার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য ইফতার ক্যাম্পেইন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রমজান মাসে একটি বিশেষ ক্যাম্পেইন নিয়ে যৌথভাবে কাজ করছে কোকা-কোলা বাংলাদেশ এবং সমাজকল্যাণ বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। দান ও কৃতজ্ঞতার চেতনায় রমজান মাস উদযাপনে এক লাখ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সঙ্গে খাবার শেয়ার করাই এ ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য।
“শেয়ার আ মিল টুগেদার” নামক ক্যাম্পেইনটি প্রথম রমজান থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৫ রমজান পর্যন্ত। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীজুড়ে প্রতিদিন চার হাজার মানুষের সঙ্গে খাবার শেয়ার করা হবে। ক্যাম্পেইনটির লক্ষ্য হলো সবাই একত্রিত হয়ে একে অপরকে সহায়তা করা। একই সঙ্গে সব প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে মানুষের মধ্যে একাত্মতা প্রচার করা।
কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুং বলেন, যখন প্রতিনিয়ত আমাদের হাজারো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে, এমন সময়ে সবাই একত্রিত হয়ে একে অন্যকে সাহায্য করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ‘শেয়ার আ মিল টুগেদার’ ক্যাম্পেইনটির পরিকল্পনা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে সমাজে বিশেষ করে রমজান মাসে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসা সম্ভব হয়।
চার হাজার মানুষের সঙ্গে খাবার শেয়ার করার পাশাপাশি এই ক্যাম্পেইনের আওতায় সারা মাসজুড়ে পাঁচ দিন বিশেষ ইফতারের আয়োজন করা হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে অনুষ্ঠিতব্য এ ইফতার আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সবাই মিলে বড় আয়োজনে একসঙ্গে ইফতার করা। এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে একতা সৃষ্টির কথা প্রচার করা হবে। এ বিশেষ উদ্যোগে অংশ নিতে আগ্রহীরা https://coca-colaramadantable.com/ সাইটে নিজস্ব তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। নিজেদের পছন্দের এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী অথবা অতিথি হিসেবে অংশ নিতে পারবেন তারা।
বিদ্যানন্দের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বলেন, পবিত্র রমজান মাসে কোকা-কোলা ও বিদ্যানন্দ একটি অনুপ্রেরণামূলক ক্যাম্পেইন নিয়ে কাজ করছে। সবার মধ্যে সমতার প্রচার করাই এর লক্ষ্য। খাবার শেয়ার করার মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন জোরালো করে সবার মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করার জন্য এতি একটি চমৎকার উদ্যোগ।
বাংলাদেশে ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছে কোকা-কোলা। এ সময়ে নিয়মিত নানা উদ্যোগের মাধ্যমে কোটি মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে কোম্পানিটি। উদ্যোগগুলোর মধ্যে আছে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করা, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, কোভিড সহায়তায় ১১.৫ কোটি টাকা দান করা এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জীবনের মান উন্নয়নের জন্য বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম।
