Logo
Logo
×

কর্পোরেট নিউজ

ক্রেতা স্বার্থ সংরক্ষণে ইউনিলিভারের উদ্যোগ

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৩, ০২:৩২ পিএম

ক্রেতা স্বার্থ সংরক্ষণে ইউনিলিভারের উদ্যোগ

সম্প্রতি কিছু পণ্যের দাম কমিয়েছে দেশের বৃহত্তম এফএমসিজি কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড- ইউবিএল। বিশ্ববাজারে কিছু কাঁচামালের দাম কমতে থাকায় ইউবিএল এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যে কার্যকর করেছে।   

দাম কমানো হয়েছে এমন পণ্যের তালিকায় রয়েছে সাবান, শ্যাম্পু ও  হ্যান্ডওয়াশ। এছাড়া ভিমবার, হরলিকস, ক্লোজ আপ টুথপেস্ট এবং শ্যাম্পুর ছোট প্যাকেট (স্যাশে) বাজারজাতকরণে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে, যা অধিকতর ভোক্তাবান্ধব। 

বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে ইউবিএল উচ্চমানের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে এবং এদেশের মানুষের সার্বিক স্বাস্থ্য এবং কল্যাণে অবদান রাখছে।

ইউবিএলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, গত বছর বিশ্ববাজারে তাদের উৎপাদিত পণ্যের বেশিরভাগ কাঁচামাল বা উপকরণের দাম অস্বাভাবিক উচ্চহারে বেড়ে যায়। সম্প্রতি কিছু উপকরণের দাম কমতে শুরু করেছে। যদিও অনেক ধরণের কাঁচামালের দামে এখনও উর্ধ্বমুখী প্রবণতা রয়েছে। অন্যান্য চ্যালেঞ্জও রয়ে গেছে। গত বছর ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরণের মূল্যপতনের পর চলতি বছরেও টাকা ক্রমাগত দর হারাচ্ছে। তবে কিছু উপকরণের দাম কমার প্রবণতা থাকায় উৎপাদিত পণ্যের দাম কমানো সম্ভব হয়েছে। 

ইউনিলিভার বাংলাদেশ সম্প্রতি ১৫০ গ্রাম ওজনের  লাক্স সাবানের দাম ৮০ টাকা থেকে কমিয়ে ৭০ টাকা করেছে। ১৫০ গ্রাম লাইফবয়ের দাম ৬০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে। লাক্স ১০০ গ্রাম প্যাকেটে ২৫ গ্রাম বাড়তি দেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রকারান্তরে ১০০ গ্রামের দাম ৬০ টাকা থেকে ৪৮ টাকা দাঁড়াচ্ছে। ইউবিএলের প্রধান শ্যাম্পুর বোতলের দাম ২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে।  

ক্লিয়ার কুল স্পোর্ট মেনথল ৮০ এমএল শ্যাম্পুর দাম ১২০ টাকা থেকে কমিয়ে ৯০ টাকা করা হয়েছে। সানসিল্ক ব্ল্যাক ৮০ এমএল শ্যাম্পুর দাম ১১০ টাকা থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৮০ টাকা। ক্লিয়ার কমপ্লিট অ্যাকটিভ কেয়ার ৮০ এমএলের দাম এখন ৯০ টাকা, যা আগে ছিল ১২০ টাকা। ডাভ ইনটেনসিভ রিপেয়ার ৮০ এমএলের দাম ১২০ টাকা থেকে কমিয়ে ৯০ টাকা করা হয়েছে। 

সাবান ও শ্যাম্পুর পাশাপাশি হ্যান্ডওয়াশের দামও কমানো হয়েছে। ২০০ এমএল লাইফবয় হ্যান্ডওয়াশ প্যাকের দাম ১০৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছে। লাইফবয় হ্যান্ডওয়াশ রিফিল প্যাকে ১০ শতাংশ বেশি দেওয়া হচ্ছে। ক্রেতারা  ১৭০ এমএলে্র জায়গায় পাচ্ছেন ১৮৭ এমএল। নতুন কিছু স্যাশে বা ছোট প্যাক আনা হয়েছে।

ডিটারজেন্ট এবং ডিশ ওয়াশ  উৎপাদনের অন্যতম কাঁচামাল সোডা অ্যাশ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে ১৩০ শতাংশ দর বাড়ে। একই সময়ের ব্যবধানে সাবান উৎপাদনের কাঁচামাল পরিশোধিত ও সুগন্ধিযুক্ত পাম স্টিয়ারিনের দাম বাড়ে ৯০ শতাংশ। একই ধরণের কার্নেল ওয়েলের দাম বাড়ে ৭০ শতাংশ। শ্যাম্পু উৎপাদনের উপকরণ সোডিয়াম লরিল ইথার সালফেটের (এসএলইএস)  দাম বাড়ে ৫০ শতাংশের বেশি। টুথপেস্টের উপাদান সরবিটল-এর দাম বাড়ে ৪০ শতাংশের বেশি।  

উপকরণের দর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর বাড়ানো হয়। যেমন- ডিটারজেন্ট পাউডারের কাঁচামাল সোডিয়াম সালফেট আমদানিতে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। আমদানি করা সাবানে শুল্ক  ৫৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৮ শতাংশ করা হয়। ফেসিয়াল ক্রিম আমদানিতে সম্পুরক শুল্ক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। ওয়াটার পিউরিফায়ারের আমদানি শুল্ক ছিল এক তাংশ, যা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। শুধু  পণ্যের দাম নয়, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে উৎপাদন ব্যয় আরও বাড়িয়ে দেয়।  

ডলারের বিপরীতে এক বছরে বাংলাদেশি মুদ্রার বিনিময় মূল্য ২৪ শতাংশ কমে যায়। এসব চ্যালেঞ্জের কারণে ইউনিলিভার বাংলাদেশ নির্ধারিত কিছু পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়। তবে দেশে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত স্যাশে ও মিনিপ্যাকের দাম বাড়ানো হয়নি। কেননা এ ধরণের ছোট প্যাকেট সাধারণত অপেক্ষাকৃত কম আয়ের মানুষ ব্যবহার করে থাকেন এবং তাদের সামর্থ্যের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনায় নেয় ইউিবএল। 

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় কিছু পণ্যের দাম বাড়ানো হলেও তা  দিয়ে সামগ্রিকভাবে বর্ধিত উৎপাদন খরচ পোষানো যায় নি । ফলে সামগ্রিক ব্যবসার ওপর নেতিবাচক প্রভাব এড়ানো যায় নি। তবে সংকটের মধ্যও ইউবিএল সমস্ত ভোক্তাদের জন্য পণ্য সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে সমর্থ হয়। 

ইউনিলিভার

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম