ইউনিলিভার বাংলাদেশের সাবেক চাকরিজীবীদের দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৯ পিএম

এক্স এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইউনিলিভার বাংলাদেশের দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১২ এপ্রিল শনিবার গাজীপুরের একটি প্রাইভেট রিসোর্টে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রায় ৪৫০ জনের অধিক প্রাক্তন কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হন। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত একটানা অনুষ্ঠান চলে। অনুষ্ঠানে অতীতের স্মৃতিচারণ, মৃত্যুবরণকারী ও অসুস্থ কর্মকর্তাদের জন্য দোয়া, অ্যাসোসিয়েশনের ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি নবীন-প্রবীণের প্রাণের মিলন মেলায় পরিণত হয়। প্রাক্তন কর্মকর্তা আরশাদ এম চৌধুরীর সঞ্চালনায় ও মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া বাহার, মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. ফারুক, মো. ওয়াসি উদ্দিন ও এম ফরহাদ হোসেন প্রমুখ এর সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়।
অংশগ্রহণকারী সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে বর্তমানে অনেকেই বিভিন্ন কোম্পানির মালিক, প্রধান নির্বাহী, এক্সিকিউটিভ নির্বাহী, জিএম, এজিম, প্রফেসর ও উচ্চপদস্থ পর্যায়ে রয়েছেন। তারা সকলেই উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করে তুলেন। অনুষ্ঠানের কনভেনর মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া বাহারের স্বাগত বক্তব্য এবং মো. শহিদুল ইসলামের কোরআন তেলাওয়াত এবং দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনার মাধ্যমে মূল পর্ব শুরু হয় । তারপর ইউনিলিভারের প্রাক্তন কর্মকর্তাদের স্মৃতিচারণ পর্ব শুরু হয়।
স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বক্তারা তাদের কর্মজীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা, হাসি ঠাট্টা ও শিক্ষনীয় বিষয়গুলি অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উপস্থাপন করেন। ভবিষ্যতে দেশের মানুষের কল্যাণ ও জনহিতকর কাজে সমিতির সদস্যদের আত্মনিয়োগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সবাই কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
স্মৃতিচারণ মূলক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কামরান বকর, মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, মুসলিম উদ্দিন, শাহ্ মাসুদ ইমাম, হাসান জাফর চৌধুরী, সালেহ ইউ আহমেদ, নাজলি সিদ্দিক, মো. শফিকুল ইসলাম, আল কাশেম ও বর্তমান ইউনিলিভারের বোর্ড মেম্বার জাহিন সাজেদুল ইসলাম ও সাদমান সাদেকিন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে মহিলা সদস্যরা পিলো পাস ও পুরুষ সদস্যরা বাস্কেট বল ও পেনাল্টি শুট আউটে অংশগ্রহণ করেন এবং প্রাক্তন কর্মকর্তা সোহেল মাহবুবুল হক ও শিল্পী রাবেয়া বসরির আনন্দময় সংগীত পরিবেশন সবাইকে মোহবিষ্ট করে রাখে। অংশগ্রহণকারী সকলকে রাফেল ড্র ও গিফট হ্যামপারের মাধ্যমে আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সবশেষে প্রাক্তন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে এবং আগামী বছর আরও ঝাঁকজমক অনুষ্ঠান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে এবং সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে ও সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।