লোটো বাংলাদেশের অত্যাধুনিক কারখানার উদ্বোধন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড (লোটো বাংলাদেশ)-এর অত্যাধুনিক নতুন কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছে।
নতুন এ কারখানায় থাকছে অত্যাধুনিক মেশিন, নারী ক্ষমতায়ন, পরিবেশবান্ধব ও সাসটেইনেবল অবকাঠামো এবং শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশসহ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র; যা দক্ষ জনবল গড়ে তুলবে। এ কারখানার মাধ্যমে ওই এলাকায় সহস্রাধিক নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং রফতানির পথ সুগম হবে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড (লোটো বাংলাদেশ)-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী জামিল ইসলাম আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
১৮ মে’র এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশি-বিদেশি ব্যবসায়িক অংশীদারবৃন্দ, কোম্পানির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন খাতের বিশিষ্টজনেরা।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানেই এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড (লোটো বাংলাদেশ) উন্মোচন করল তাদের নতুন প্রযুক্তিসম্পন্ন পণ্য ‘সুপার লাইট’। হালকা, আরামদায়ক এবং পানিরোধী এই পণ্যটি আকর্ষণীয় মূল্যে পাওয়া যাবে লোটোর সব আউটলেটে। আধুনিক ডিভেন্টিলেশন হোল সম্বৃদ্ধ ডিজাইনের অত্যাধুনিক এই পণ্য আধুনিক লাইফস্টাইল, পারিবারিক উপলক্ষ্য, ক্যাজুয়াল ওয়্যার, আনন্দঘন পরিবেশ, সামার বিচ এবং আউটিং–এ বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করবে।
এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড যাত্রা শুরু করে ২০০৭ সালে এবং শুরু থেকেই প্রিমিয়াম মানের পাদুকা পণ্য উৎপাদনে মনোনিবেশ করে। ৩৫ জন কর্মচারী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও ক্রমবর্ধমান মান নিয়ন্ত্রণ ও গ্রাহকসেবা নীতির কারণে দ্রুতই দেশীয় বাজারে বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাস অর্জন করে। ২০১০ সালের দিকে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে উৎপাদন সম্প্রসারণের ফলে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও সুনাম অর্জন করে। যার ফলশ্রুতিতে ২০১১ সালে এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড ইতালির নাম্বার ওয়ান স্পোর্টস ব্র্যান্ড লোটোর লাইসেন্সি মর্যাদা পায় এবং লোটো বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়।
বাংলাদেশিদের জীবনযাত্রা, আবহাওয়া আর আর্থিক চাহিদা—এসব কিছুর পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তাদের যা প্রয়োজন, এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড (লোটো বাংলাদেশ) ঠিক সেই উপযোগী পণ্যের বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করে; যার ধারাবাহিকতায় এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড (লোটো বাংলাদেশ) বাজারে নিত্যনতুন ফুটওয়্যার ও অ্যাপারেল টেকনোলজির সূত্রপাত করে সফলতা অর্জন করে। সফল প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে এএমএফ, বুস্ট, ইজি ফিট, ডিপ ড্রাই টেক এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
লোটোর এএমএফ সুপার কমফোর্ট টেকনোলজির আলট্রা ব্রিদেবল আর কমফোর্টেবল ফোমিং এ কর্মব্যস্ত সারাটা দিনেও দেয় অতুলনীয় আরামের নিশ্চয়তা। লোটোর বুস্ট টেকনোলজি সম্বৃদ্ধ সু প্রতিদিনের হাঁটা আর দৌড়ের জন্য পারফেক্ট কম্প্যানিয়ন। লোটোর বুস্ট পায়ে এনার্জি রিফ্লেক্স করে, দৌড়ের গতি বাড়ায়, শক্তি বাঁচায়। লোটোর ইজি ফিট প্রযুক্তির মাধ্যমে হাতের স্পর্শ ছাড়াই সু পরিধান যায়। অর্থাৎ ঝুঁকে জুতা পরিধানের ঝামেলামুক্ত, যা বয়সকালীন শারীরিক দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। আর লোটোর ডিপ ড্রাই টেক পোলো-টি-শার্ট শরীরের ঘাম শুষে নেয় নিমেষেই। এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেডই (লোটো বাংলাদেশ) একমাত্র লাইফস্টাইল ও ফ্যাশন পণ্যের প্রতিষ্ঠান যা বিভিন্ন প্রযুক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে এদেশে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে থাকে। এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড (লোটো বাংলাদেশ)-এর প্রত্যেক সফলতার গল্পে এটাই অন্যতম মূলমন্ত্র।
দেশজুড়ে ২২০ টিরও বেশি আউটলেটে বিপুল সমারোহে নতুন এই পণ্যসম্ভার নিয়ে এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড (লোটো বাংলাদেশ) স্টাইলিশ ও ফ্যাশনপ্রেমী গ্রাহকদের জন্য অপেক্ষা করছে।
