জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কারাজীবন এবং তার সাহিত্য ও রাজনৈতিক চিন্তায় এর প্রভাব বিষয়ে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-তে একটি বিশেষ বক্তৃতা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম অ্যান্ড আব্বাসউদ্দীন আহমদ রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডি সেন্টার (কেএনআইএএআরএসসি)। 

গত ২৩ জুন ২০২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ল্যাশ ফ্যাকাল্টি লাউঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক ছিলো আইইউবির লিটারেচার ক্লাব। 

‘কবি কাজী নজরুল ইসলামের কারাজীবন’ শিরোনামে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির মানবসম্পদ উন্নয়ন উপবিভাগ (আইনবিষয়ক) এর উৎপাদন কর্মকর্তা শাহ্ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তিনি নজরুলের সৈনিক জীবন থেকে শুরু করে বিদ্রোহী কবি হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করেন এবং কীভাবে কারাবাস কবির লেখার ভাষা, বিষয় ও রাজনীতি অনুধাবনে নতুন মাত্রা যোগ করে তা তুলে ধরেন। আলোচনার একপর্যায়ে তিনি নজরুলের বিখ্যাত কবিতা ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ পাঠ করেন – যে কবিতার জন্য নজরুলকে কারাবরণ করতে হয়েছিলো।

বাংলা একাডেমির গ্রন্থাগার বিভাগের পরিচালক ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন নজরুলের ভাষা ও আবেগের তীব্রতা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি ধূমকেতু, ভাঙার গান, দোলনচাঁপা প্রভৃতি গ্রন্থের প্রসঙ্গ টেনে নজরুলের কারাবন্দি সময়ে প্রকাশিত রচনার গভীরতা ও প্রতিবাদী চেতনার ওপর আলোকপাত করেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে আইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড্যানিয়েল ডব্লিউ. লুন্ড তারুণ্যের সৃজনশীলতা ও বিদ্রোহের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বিশ বছর বয়সে হৃদয়ে যে আগুন থাকে, তা-ই বিদ্রোহ ও কবিতার জন্ম দেয়। অনেক বড় শিল্পী ও বিপ্লবী তখনই তাদের ভাষা খুঁজে পান। সে আগুন নিভতে দিও না, বিকশিত হতে দাও।’

আলোচনার শেষে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব, যেখানে শিক্ষার্থীরা সাহিত্য ও প্রতিবাদের ধারা নিয়ে অতিথিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেএনআইএএআরএসসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমেদ আহসানুজ্জামান। সঞ্চালনায় ছিলেন এনভায়রমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মারিয়াম বিনতে হাসান ফারিন।