বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সেমিনার
কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার টেকসই সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১০:৫০ পিএম
ছবি: সৌজন্য
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী জাতীয় সেমিনারে “কঠিন বর্জ্যের টেকসই ব্যবস্থাপনা: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও করণীয়” শীর্ষক থিমেটিক সেশনে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার টেকসই সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান-এর সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সেশনে সভাপতিত্ব করেন ড. মো. সোহরাব আলি, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায়, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এবং অংশীদার সংস্থাসমূহ - সুইস রেড ক্রস, বাংলাদেশ পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড (বিপিসিএল), ডব্লিউইইই সোসাইটি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) কর্তৃক যৌথভাবে এই সেশনটি আয়োজন করেছে। সুইজারল্যান্ডের সহায়তাপুষ্ট ওয়াটারএইড এবং সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন গোফরইমপ্যাক্ট কর্মসূচির আওতায় আয়োজিত এ সেশনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও উন্নয়ন সংস্থা, নাগরিক সমাজ, যুব সমাজ, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মীগণ এ সেশনে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কার্যকর অগ্রগতি আনতে তিনটি বিষয়ে জোর দিতে হবে: গণসচেতনতা, প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারিত্ব ও আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন। স্বাগত বক্তব্যে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জনাব হাসিন জাহান বলেন, বর্জ্য সমস্যার সমাধান শুধু ডাস্টবিন স্থাপনে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করতে হলে সবার আগে আমাদের আচরণ বদলাতে হবে, অন্যকে উৎসাহ দিতে হবে, আর পুনর্ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জনাব ড. মো. সোহরাব আলি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরও শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্ব ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। শিরিন সুলতানা লীরা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, গভর্ন্যান্স, ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ইনভায়রনমেন্ট, সুইজারল্যান্ড দূতাবাস, বাংলাদেশ গুরুত্বারোপ করেন বলেন সহযোগিতা, সমন্বয় ও যৌথ উদ্যোগ- এটাই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় টেকসই সমাধান ও পরিবেশ রক্ষার মূল চাবিকাঠি।
কঠিন বর্জ্যের টেকসই ব্যবস্থাপনা: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও করণীয় শীর্ষক থিমেটিক সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনাব সাঈফ মনজুর-আল-ইসলাম, টিম লিডার, গোফরইমপ্যাক্ট, ওয়াটারএইড এবং সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম। জনাব সাঈফ তার উপস্থাপনায় দেশের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বর্তমান বাস্তবতা, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ, নীতিগত অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন। সেমিনারে আরও তিনটি উপস্থাপনায় প্লাস্টিক, জৈব এবং ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন খাদেম মাহমুদ ইউসুফ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিপিসিএল; কমলেন্দু দাস, টেকনিক্যাল ম্যানেজার, সুইস রেডক্রস; ও ড. মো. মোস্তফা আকবর, ভাইস চেয়ারপার্সন, ডব্লিউইইই সোসাইটি বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক প্যানেল আলোচনায় আলোচনায় অংশ নেন রাজিনারা বেগম, পরিচালক (বর্জ্য ও রাসায়নিক পদার্থ ব্যবস্থাপনা), পরিবেশ অধিদপ্তর; ড. তারিক বিন ইউসুফ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, ইউডিসিজিপি, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর; শিরিন সুলতানা লীরা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, গভর্ন্যান্স, ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ইনভায়রনমেন্ট, সুইজারল্যান্ড দূতাবাস, বাংলাদেশ; সুমাইয়া তাবাসসুম আহমেদ, হেড অব সাসটেইনেবিলিটি, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ; আবরার জাহিন রেইন, সাধারণ পরিষদ সদস্য, টিআইবি যুব সম্পৃক্ততা ও সহায়তা (ইয়েস) গ্রুপ। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা এবং সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মতামত তুলে ধরেন।
পার্থ হেফাজ শেখ, পরিচালক- প্রোগ্রামস অ্যান্ড পলিসি অ্যাডভোকেসি, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ, ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে এই সেশনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
