ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী, পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তি কারাগারে
কিশোরগঞ্জ ব্যুরো
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
স্কুল থেকে ফেরার পথে পথরোধ করে ধর্ষণের ঘটনায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে এ ঘটনায় ধর্ষক হোসেন মিয়াকে (৫০) রোববার তাড়াইল থানা পুলিশ গ্রেফতার করে কিশোরগঞ্জের কোর্টে সোপর্দ করেছে।
আদালত ধর্ষক হোসেনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। হোসেন মিয়া (৫০) তাড়াইল উপজেলার ধলা ইউনিয়নের কলমা গ্রামের মৃত লাল মাহমুদের ছেলে।
জানা গেছে, ষষ্ঠ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে রোববার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার পর হোসেনকে গ্রেফতার করে দুপুর ১টায় কিশোরগঞ্জের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ওই শিশু স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। হোসেন মিয়ার বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করত সে। গত ২ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িতে ফেরার পথে এলাকার পরিত্যক্ত একটি পুকুরের কাছে আসামাত্রই শিশুটির পথরোধ করে ধরে নিয়ে মুখ চেপে ধর্ষণ করে হোসেন।
পরে ধর্ষণের এ ঘটনায় মুখ খুললে তার বাবা ও মাকে খুন করে ফেলবে বলে হুমকিও দেয় হোসেন। একই কায়দায় একাধিকবার ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করে হোসেন।
শনিবার অভিভাবকের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে আলট্রাসনোগ্রামের পর জানা যায় শিশুটি ২৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। আর তখনই এতদিন গোপন রাখা ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা অভিভাবকদের জানাতে বাধ্য হয় শিশুটি।
তাড়াইল থানার ওসি সাব্বির রহমান বলেন, হোসেন মিয়ার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই শিশুটির বাবা মামলা দায়ের করলে রোববার দুপুর ১টায় আসামিকে গ্রেফতার করে কিশোরগঞ্জ কোর্টে সোপর্দ করা হয়।
কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন জানান, আদালত হোসেনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
