Logo
Logo
×

সারাদেশ

পাওনা টাকা আদায়ে দেনাদারদের নামসহ ব্যানার টানালেন কাঠুরে!

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম

পাওনা টাকা আদায়ে দেনাদারদের নামসহ ব্যানার টানালেন কাঠুরে!

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় পাওনা টাকা আদায়ে অভিনব এক কৌশল অবলম্বন করেছেন কাঠুরে মো. ইনতাজ আলী। তিনি দেনাদারদের নাম ও পাওনার পরিমাণ উল্লেখ করে ব্যানার টাঙিয়েছেন এলাকায়। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের টঙ্গির চর গ্রামে। স্থানীয়রা জানান, মৃত জুম্মন খানের ছেলে ইনতাজ আলী দীর্ঘদিন কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বয়স বাড়ায় এখন আর আগের মতো কাজ করতে পারেন না। গত পাঁচ বছরে স্থানীয় ছয়জনের কাছে তার প্রায় ২৫ হাজার টাকা পাওনা হয়।

পাওনা চেয়ে বারবার তাগাদা দিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে ইনতাজ আলী সম্প্রতি থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু তাৎক্ষণিক সমাধান না মেলায় ভিন্ন পন্থা নেন তিনি। কয়েক দিন আগে তিনি ৪ বাই ৫ ইঞ্চি আকারের ডিজিটাল ব্যানারে দেনাদারদের নাম, টাকার অঙ্ক ও সতর্কবার্তা লিখে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে টাঙিয়ে দেন।

ব্যানারে লেখা ছিল— ‘থানা থেকে অর্ডার এই বিষয়টা এলাকাবাসীকে জানানোর জন্য। যদি এই টাকা না দেন, তাহলে থানায় মামলা হবে।’ 

সেখানে ছয়জন দেনাদারের নাম ও পাওনার হিসাবও উল্লেখ করা হয়। তারা হলেন—দিলু ব্যাপারী – ৬,০০০ টাকা, হুমায়ুন ব্যাপারী – ২,৬০০ টাকা, সুজন ব্যাপারী – ৭৫০ টাকা, নজরুল ব্যাপারী – ২,৪০০ টাকা, বারেক গাছের ব্যাপারী – ১৩,০০০ টাকা, রতন গাছ কাটে – ২০০ টাকা

এই ব্যানারের ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ বিষয়টিকে ‘সাহসী উদ্যোগ’ হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকে এটিকে ‘ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ’ ও ‘হেয় করার চেষ্টা’ হিসেবে সমালোচনা করছেন। 

ইনতাজ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেকবার বলার পরও টাকা দিল না। তাই মাইনসেরে জানাইতে আর হেরারে একটু লজ্জা দিবার লাইগা এই কাম করছি। যদি তাও না দেয়, তাইলে মাইকে কইরা পাড়া-মহল্লায় বাইর হইমু।’

এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এ ধরনের প্রচারণা চালাতে থানা থেকে কাউকে বলা হয়নি। ইনতাজ আলী যদি লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম