হত্যা মামলা নিষ্পত্তির জরিমানার টাকা নিয়ে সংঘর্ষে নারীসহ আহত ২৫
মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নেত্রকোনার মদনে বিবেক হত্যা মামলা নিষ্পত্তির জরিমানার টাকা আদায় নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাড়ি ঘর ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নে আলমশ্রী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত সম্রাট, কামাল, রুবেল, তারু, মাউজ উদ্দিন, খাইরুল ও আরশ মিয়াকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। শরিন ও সাহেলাসহ বাকি আহতরা মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, আলশ্রী গ্রামের জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালে বিবেক নামে এক কৃষককে হত্যা করা হয়। এ হত্যায় ইউপি সদস্য ফারুক মিয়া প্রধান আসামি ছিলেন। হত্যা মামলাটি গ্রাম্য-বৈঠকের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয় ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে।
এ টাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল আলম তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের নিকট টাকা জমা রাখার কথা ছিল। তবে ওই টাকা নিয়ে গড়িমসি করায় ইউপি সদস্য ফারুকের লোকজনের সঙ্গে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান হিরা, বাচ্চু, কামরুল ও বিল্লালের গোত্রের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আলমশ্রী গ্রামের মিলন মিয়া জানান, আমি রোকন মিয়ার নিকট থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি জমি বন্ধক রাখি। এই টাকা থেকে বিবেকের মামলা বাবদ ৩০ হাজার টাকা দাবি করে ফারুক মেম্বার। আমি এ টাকা দিতে অস্বীকার করায় আলমশ্রী বাজারে আমাকে মারধর করে।
ইউপি সদস্য ফারুক মিয়া জানান, আমি ছিলাম বিবেক মামলার প্রধান আসামি। গত ৪০-৪৫ দিন হয়েছে গ্রাম্য-বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। আমাদের পাঁচ গোত্রকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ধরেছে মাতবররা। এ টাকা মাসের ১৫ সেপ্টেম্বর দেওয়ার কথা। আমার ৫০ হাজার টাকা দিলেও তারা টাকা দিচ্ছেন না।
তবে মিলনের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা বাবদ দাবি করেছেন, এমনকি মিলনকে মারধর করেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি সদস্য ফারুক মিয়া বিষয়টি অস্বীকার করেন।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান তালুকদার হিরা জানান, যারা মামলার আসামি তারা মূলত জরিমানার টাকা দেবে।
মদন থানার ওসি শামসুল আলম শাহ বলেন, পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছেন। ২০-২৫ বাড়ি ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
