গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ডাব বেচাকেনা নিয়ে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত সালিশ বৈঠকের পর দুদল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ওসি, এসআই, ৪ পুলিশ ও সাবেক কাউন্সিরসহ  অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার পৌর মাল্টিপারপাস মার্কেটের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় মানিক মিয়া সুপার মার্কেটের অন্তত ১০টি দোকান ভাঙচুর হয়। 

আহতরা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর আহত টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. রকিবকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরোয়ার হোসেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর উপজেলার পাটগাতী বাসস্ট্যান্ডে ডাব বেচাকেনা নিয়ে শ্রীরামকান্দি গ্রামের ডাব বিক্রেতা মো. হামজা (২৫) ও পাটগাতী সরদারপাড়া এলাকার ক্রেতা জিয়ারুল মোল্লার (২১) মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জেরে দুই গ্রামের মুরব্বিদের নিয়ে রোববার বিকালে পৌর মাল্টিপারপাস মার্কেটে সালিশ ডাকা হয়।

সন্ধ্যার দিকে সালিশ চলার সময়ে মার্কেটের বাইরে দুই গ্রামের দুজনের মধ্যে আবারও মারামারি শুরু হয়। এ সময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষ লিপ্ত হয়।

পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সংঘর্ষ থামাতে গেলে টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি, এসআই, পুলিশ সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলরসহ দুই গ্রামের অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে গোপালগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের সময় মানিক মিয়া মার্কেটের প্রায় ১০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়।

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারোয়ার হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় ইটের আঘাতে টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি জাহিদুল ইসলামসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।