বানিয়াচংয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার কাছে এসিল্যান্ড ও সার্ভেয়ারের ঘুস দাবি
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বানিয়াচংয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইসমাইল রহমান ও সার্ভেয়ার মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ২ লাখ টাকা ঘুস দাবির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবর পৃথক দুটি লিখিত আবেদনে এমন অভিযোগ এনেছেন।
এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষমতার অপব্যবহার, জনসাধারণের সঙ্গে অসদাচরণ ও সেবাপ্রত্যাশীদের বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানির বিষয়ে স্থানীয় এবং জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও এসব বিষয়ে জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এরপর খোদ মুক্তিযোদ্ধার কাছে ঘুস দাবির খবরে সর্বত্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।
মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালে মিশুক টমটম ও পেট্রোল বিক্রির জন্য দুটি লাইসেন্স পাওয়ার নিমিত্তে ৬ হাজার টাকা চালান দিয়ে ডিসি বরাবর আবেদন করি। সরকারি বিধি অনুযায়ী সব ডকুমেন্টস সাবমিট করার পর তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসিল্যান্ড ইসমাইল রহমান ১ বছরের অধিক সময় পরও তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেননি।
পরে এসিল্যান্ডের নির্দেশে সার্ভেয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি (সার্ভেয়ার) বলেন, এরকম দুটি লাইসেন্স পেতে হলে ৬ লাখ টাকা এসিল্যান্ড স্যারকে দিতে হয়। আপনি যেহেতু মুক্তিযোদ্ধা আপনি কমপক্ষে ২ লাখ টাকা দিয়ে দেন, লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।
এ ব্যাপারে এসিল্যান্ড ইসমাইল রহমানের মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি। ইউএনও মাহমুদা বেগম সাথী বলেন, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন। সার্ভেয়ার মহিউদ্দিন বলেন, একটি আবেদনের বিপরীতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি, অপরটি প্রক্রিয়াধীন। আর আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি ডাহা মিথ্যা।
