অবশেষে ত্রিপুরায় গেল দুই ট্রাক ইলিশ
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় গেল কাঙ্খিত সেই পদ্মার ইলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দুটি ট্রাকে ১২শ কেজি ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হয়।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশি ইলিশ মাছ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মাতাব এন্ড সন্স এবং ভারতীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পরিতোষ বিশ্বাস এই বাণিজ্য করছে। ভারতের বাজারে প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ মার্কিন ডলার ৫০ সেন্ট। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ৫২৫ টাকা।
আখাউড়া উপজেলা উপজেলা মৎস সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, মাছের স্বাস্থ্য পরিক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে তিনি বলেন, ভারতে ১২শ’ টন ইলিশ রপ্তানি করার অনুমোদন দেয় সরকার। আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে।
এর আগে, আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছের অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়। পরে বিশেষ বিবেচনায় দেশের ৩৭টি টন ইলিশ রপ্তানি করার অনুমোদন দেয় সরকার। আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রফতানি শেষ করতে হবে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ইলিশ রপ্তানি একসময় উন্মুক্ত থাকলেও, ২০১২ সালে উৎপাদন সঙ্কটের কারণে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে ২০১৯ সাল থেকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ বিবেচনায় সীমিত পরিমাণে ইলিশ রপ্তানির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
গত বছর ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু রপ্তানি হয় এক হাজার ৩০৬ দশমিক ৮১৩ মেট্রিক টন ইলিশ। যা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া রপ্তানি আদেশের ৪৪ ভাগ। অনেক প্রতিষ্ঠান মাছ না পেয়ে ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। এবারও মাছ সংকট ও অতিরিক্ত মূল্যের কারণে সব মাছ রপ্তানি করা সম্ভব হবে না বলে ধারণা করছে মাছ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।

-68cbd7253eac2.jpg)