Logo
Logo
×

সারাদেশ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত, ১৩ মাস পর মামলার আবেদন

Icon

ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত, ১৩ মাস পর মামলার আবেদন

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলা ও মারধরের অভিযোগে আরও একটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। ঘটনার ১৩ মাস পর বুধবার বিকালে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন এনায়েত উল্যাহ নামে এক আহত  ব্যক্তি।

মামলায় ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি, সাংবাদিক শফি উল্লাহ রিপন, সাংবাদিক শাখাওয়াত হোসেন ডন চৌধুরী ও সাহেদ সাব্বিরসহ ১০৬ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৫০-১০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আদালতে আবেদন করা হয়।

মামলার বাদী আহত এনায়েত উল্যাহ সোনাগাজী উপজেলার পূর্ব সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুরে ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে আসামিদের নির্দেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে নির্বিচারে গুলি চালান আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে বাদীসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় ৯ জন নিহত ও দুই শতাধিক ছাত্রজনতা আহত হন। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিতেও বাধা দেওয়া হয়। পেশায় শ্রমিক হওয়ায় দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়া ও পরিবারের খরচ বহনসহ নানা কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন তিনি।

অন্যদিকে মহিপালে গণহত্যা ও বহু গুলিবিদ্ধের মতো বর্বরোচিত ঘটনায় সাংবাদিকদের জড়ানোর অপচেষ্টা বলে দাবি করেছেন জেলার সিনিয়র সাংবাদিকরা। মামলার নামে সাংবাদিকের কণ্ঠরোধে ভয়াল ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে তাৎক্ষণিক ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা।

দীর্ঘসময় পর মামলা করার কারণ প্রসঙ্গে জানতে কথা হয় বাদী এনায়েত উল্যাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি আহত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকায় মামলা করতে সময় লেগেছে। আসামিদের সবাই আমার চেনা।

এ ব্যাপারে ফেনী জেলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম বলেন, ঘটনার এক বছরের বেশি সময় পর এসে এমন মামলার ঘটনা প্রশ্নবিদ্ধ। মূলত গণঅভ্যুত্থানে হওয়া প্রকৃত মামলাগুলোকে দুর্বল ও জুলাই আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্যই অনেকে এখন এসব মামলা করছেন। এক কথায় এখানে বিচারের নামে অবিচার শুরু হয়েছে। আমরা এসবের নিন্দা জানাই।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম