Logo
Logo
×

সারাদেশ

শিশুকে ধর্ষণ: ৪ মাস পর গ্রেফতার ধর্ষক ইয়াসিন কারাগারে

Icon

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০০ পিএম

শিশুকে ধর্ষণ: ৪ মাস পর গ্রেফতার ধর্ষক ইয়াসিন কারাগারে

কালীগঞ্জে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণে অভিযুক্ত ইয়াসিন। ছবি: যুগান্তর

গাজীপুরের কালীগঞ্জে শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের ৪ মাস পর ধর্ষণের মূলহোতা ইয়াসিনকে কাপাসিয়া থেকে গ্রেফতার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেফতার আসামিকে গাজীপুর আদালতে পাঠায় কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে আদালতের বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠান।

বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেফতার আসামি ইয়াসিনকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

২০২৫ সালের ১২ মে সন্ধ্যার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই আকাশ বাদী হয়ে ১৫ মে কালীগঞ্জ থানায় ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আট বছর বয়সি শিশু শিক্ষার্থী বাড়ির পাশে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা করছিল। এ সময় প্রতিবেশী আব্দুল হাইয়ের ছেলে ইয়াসিন (৪৫) ওই শিশুকে প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজের ঘরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে লম্পট ইয়াসিন কৌশলে শিশুর মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ কথা কাউকে বললে শিশুটিকে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখায় বলে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এভাবে সে বেশ কয়েক দিন ওই কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীকে পাশবিক নির্যাতন করে। 

১২ মে পুনরায় তাকে ধর্ষণ করে। পরে ওই শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে যায়। চলতি বছরের ১৩ মে সন্ধ্যার দিকে শিশুটি বাড়ির পাশে রাস্তায় খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। তাকে গুরুতর রক্তাক্ত আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক অবস্থার বেগতিক দেখে দ্রুত ঢামেকে রেফার্ড করেন। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, শিশুটি একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছে। 

পরিবারের লোকজন জিজ্ঞেস করলে শিশু জানায়, খালাতো ভাই ইয়াসিন আমাকে জোর করে তার ঘরে ধরে নিয়ে যায়। আমার সালোয়ার আর কাপড় খুলে খারাপ কাজ করে। সে আমাকে বলে- ‘বাড়িতে গিয়া বললে মাইরা ফালাইমু।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রিগান মোল্লা যুগান্তরকে জানান, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ৪ মাস পর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ইয়াসিনকে কাপাসিয়া উপজেলার তারাগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম