৩০ বছরের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা
তাবারক হোসেন আজাদ, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১১ এএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রায়পুর উপজেলার ২ নাম্বার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের মাঝে ডাকাতিয়া নদীর উপর এ সেতুটি ‘মালেক খান সেতু’ হিসেবে পরিচিত।
১৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের সেতুটি ১৯৯৫ সালে নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। লোহার রড ও কংকর-সিমেন্টের সংমিশ্রণে ৬টি পিলারের উপর সেতুটি তৈরি করা হয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ৬টি পিলারেই মরিচা পড়েছে। এক পাশে রেলিং ভেঙে গেছে। সেতুর মাঝামাঝি জায়গায় ২টি গর্ত হয়েছে।
এর মধ্যে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সেতুর আশেপাশের মেঘনার চরাঞ্চলের কৃষক ও গ্রামগুলোর প্রায় ১০ হাজার মানুষকে প্রতিদিন প্রাত্যহিক কাজে পার হতে হয় সেতুটি। এই সেতু দিয়ে ইজিবাইক, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চলাচল করছে। রিকশা বা ভ্যানে যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পার হয়। শিশুরা গর্ত দিয়ে নদীতে পড়ে যায় বলেও জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, খাসেরহাট, চমকা বাজার, চরবংশী, বটতলা, চান্দারখাল ও চরকাছিয়া, চরইন্দ্রুরিয়া এলাকার বাসিন্দা ও মেঘনার চরাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার মানুষ ও শিক্ষার্থীরা এই সেতু দিয়েই চরবংশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জনতা উচ্চ বিদ্যালয়, মোবারকিয়া ও চরবংশী দাখিল মাদরাসা, দুটি কেজি স্কুল ও খাসেরহাট বাজার এলাকায় যেতে হয়।
চরবংশী গ্রামের বাসিন্দা ভ্যান চালক আবদুল মান্নান (৪৮) বলেন, এই সেতু দিয়ে ভ্যান নিয়া আসলে বিপদে পড়তে হয়। যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার পরও পেছন থেকে না ঠেললে টেনে নিয়ে যাওয়া যায় না। একই গ্রামের বাসিন্দা কাশেম ফরাজি (৩৫) বলেন, গত ৩০ বছর ধরে সেতুর এই অবস্থা। ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বারবার গিয়েও কোনো কাজ হয়নি।
উত্তর চরবংশী ইউপির প্রশাসক (সহকারী কমিশনার, ভূমি) নিগার সুলতানা বলেন, ডাকাতিয়া নদীর ওপর এই সেতুর বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী জানিয়েছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ নতুন করে এ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে।
রায়পুর এলজিইডি প্রকৌশলী সুমন মুন্সি বলেন, ডাকাতিয়া নদীর পুরোনো সেতুর জায়গায় নতুন একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা চলছে স্থানীয় সরকার বিভাগে। ৩৯ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭ দশমিক ২ মিটার প্রস্থের সেতুর নকশাও প্রস্তুত করা হচ্ছে।

