Logo
Logo
×

সারাদেশ

গরু বেচা নিয়ে বিরোধ, দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

Icon

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৫ পিএম

গরু বেচা নিয়ে বিরোধ, দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে গরু বেচা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। 

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার উথলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

নিহতরা হলেন- বড় মসজিদপাড়ার গ্রামের মৃত খোদাবক্স মন্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেন মিন্টা (৬০) ও হামজা আলী (৪৫)। 

স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে উথলী গ্রামের ৭২নং ব্রিজ মাঠে কৃষিকাজ করতে যান হামজা ও তার ভাই মিন্টা। সকাল ৮টার দিকে ৮ থেকে ১০ জন মিলে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় দুভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে চলে যায় তারা। দুজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। সেখানে নেওয়ার আগেই হামজার মৃত্যু হয়। পরে মিন্টার চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়।  

নিহতের ভাই তোতা মিয়া বলেন, পাঁচ মাস আগে গরু বেচাকেনা নিয়ে প্রতিবেশী নিজাম আলী ওরফে খোকার সঙ্গে হামজার বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধের একপর্যায়ে মারামারিও হয়। ওই ঘটনার জেরে সকালে তারা আমার দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। 

স্থানীয়রা জানান, পাঁচ মাস আগে হামজা একটি গরু বিক্রির জন্য খোকার সঙ্গে দামদর ঠিক করেন। পরদিন গরুটি খোকার দেওয়া মূল্যের থেকে পাঁচ হাজার টাকা বেশি পাওয়ায় অন্যজনের কাছে বিক্রি করে দেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ওই সময় মিন্টা, হামজাসহ তার লোকজন খোকাকে মারধর করেন। ওই সময় খোকা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাও নেন। মারামারির ঘটনায় মামলা দায়ের হলে তা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। ওই ঘটনার জের ধরে সকালে মিন্টা ও হামজা মাঠে কাজ করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের উপর্যুপরি কুপিয়ে ও লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনোয়ার হোসেন মিন্টা জরুরি বিভাগে আসেন। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ভর্তি করা হয়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। আর হামজাকে জরুরি বিভাগে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। 

জীবননগর থানার ওসি মানুন হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। হামলাকারীরা ঘটনার পরপর পালিয়ে গেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে। 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম