বাঁশখালী বিএনপির নেতাদের নাম ভাঙিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বাঁশখালী পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা আলী বর্তমানে পৌরসভা বিএনপির এক সিনিয়র নেতার নাম ভাঙিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। 

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও ভোট ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে মোস্তফা আলীর বিরুদ্ধে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বৈরাচারী হাসিনার দোসর সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান, পৌরসভার মেয়র তোফাইল ও  চাম্বল আওয়ামী লীগ নেতা মুজিব চেয়ারম্যানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন মোস্তফা আলী। বিগত সরকারের আমলে জামায়াত ও বিএনপির অসংখ্য কর্মীকে পুলিশী হয়রানির মাধ্যমে এবং জলদস্যুতা, মাদক কারবার ও চাঁদা আদায় করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যান তিনি।

পৌরসভা বিএনপির একাধিক নেতা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে অবস্থান ও মিছিল করেন এবং ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ও হুমকি দেওয়া বক্তব্যে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের উৎসাহ ও সাহস জুগিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।  

আরও পড়ুন

আরও পড়ুন

তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে: এ্যানি

বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজ এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে খোরশেদ আলমের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন এবং অর্থ যোগানের অভিযোগ রয়েছে মোস্তফা আলী বিরুদ্ধে। 

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বাঁশখালী পৌরসভার ছাত্রদলের এক নেতা বলেন, পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কথিত ব্যবসায়ী মুখোশধারী মোস্তফা আলী, আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুল হকের সঙ্গে যোগসাজশে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি, মাদকের কারবার, জলদস্যুতা, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।      

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বাঁশখালী থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তাফা আলী আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত থাকলেও বর্তমানে পৌরসভার কিছু বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় প্রকাশ্য ঘোরাফেরা করেন তিনি। 

বাঁশখালী থানার পরিদর্শক সুধাংশু শেখর হাওলাদার জানান, এ বিষয়ে আমরা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।