Logo
Logo
×

সারাদেশ

ছাত্রলীগ নেতাকে গোপনে বিয়ে করতে দিলেন না ‘প্রথম স্ত্রী’, ঘটালেন যে কাণ্ড

Icon

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৪ পিএম

ছাত্রলীগ নেতাকে গোপনে বিয়ে করতে দিলেন না ‘প্রথম স্ত্রী’, ঘটালেন যে কাণ্ড

প্রথম স্ত্রীকে স্বীকৃতি না দিয়ে গোপনে বিয়ে করতে যাওয়ার আগেই বিয়ে আটকে দিলেন এক নারী। এমন অভিযোগে বিয়ে রেখে গা ঢাকা দিয়েছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত এক ছাত্রলীগ নেতা।

নেত্রকোনার পূর্বধলায় ঘটেছে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা। উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোকাব্বির হোসেনের বিয়ে উপলক্ষে যখন বাড়িতে উৎসবের আমেজ, তখনই সেখানে উপস্থিত হয়ে এক নারী নিজেকে ওই নেতার স্ত্রী দাবি করেন। 

রোববার বিকালে উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের কৈলাটি নয়াপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় জানা গেছে, মোকাব্বির যখন বর সেজে কনেকে আনতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক তখনই ওই নারী সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন। ওই নারী দাবি করেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই পরিবারের অজ্ঞাতে তাদের বিয়ে হয়েছিল এবং তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে বসবাসও করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তাকে না জানিয়ে মোকাব্বিরের দ্বিতীয় বিয়ের সংবাদ শুনে স্ত্রীর মর্যাদার দাবি নিয়ে তিনি সরাসরি বরের বাড়িতে চলে আসেন।

পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বর মোকাব্বির গা-ঢাকা দেন। অন্যদিকে বরের পরিবার ঘরের ভেতর থেকে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ওই নারী দরজার সামনেই অনশনে বসে যান। তিনি হুমকি দেন স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।

এদিকে বরের পরিবারের দাবি, ওই নারীর বিষয়টি নিয়ে তার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময় মতো টাকা পরিশোধ না হওয়ায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

অনশনে বসা নারীর নানা আব্দুস ছালাম আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি ঘরোয়াভাবে মীমাংসা করার কথা ছিল। কিন্তু তারা ঘটনাটিকে জনসমক্ষে নিয়ে আসায় এখন আর এর সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না।

স্ত্রী দাবি করা ওই নারী গাজীপুরের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। এর আগে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় তার বিয়ে হয়েছিল। দুই বছর আগে সেখানে তার বিচ্ছেদ হয়। এরপরই মোকাব্বিরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। 

পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ নূরুল আলম বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম