খাগড়াছড়িতে ৩য় দিনের মতো ১৪৪ ধারা বহাল, নিহতদের পরিচয় মিলেছে
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও পৌর এলাকায় শনিবার জারি হওয়া ১৪৪ ধারা সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। সোমবার দুপুর থেকে অবরোধ শিথিল হওয়ায় খাগড়াছড়ি জেলার সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভ ও সহিংসতাকে কেন্দ্র করে রোববার গুলিতে নিহত তিনজনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন- সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের দেবলছড়ি চেয়ারম্যানপাড়ার আথুই মারমা (২১), হাফছড়ি ইউনিয়ন সাং চেং গুলি পাড়ার আথ্রাউ মারমা (২২) ও রামেসু বাজার বটতলা এলাকার তৈইচিং মারমা (২০)।
এছাড়া এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর ১ মেজরসহ ১৬ সদস্য ও গুইমারা থানার ওসি ৩ জন আহত হন। ঘটনার পর থেকে গুইমারা উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা অবরোধে রাঙামাটির সঙ্গে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙাসহ ৯ উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। জরুরি সেবা ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে জুম্ম ছাত্র-জনতার অবরোধে তিন দিন ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। শনিবার শুরু হওয়া অবরোধ তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে। শহরের চেঙ্গী স্কয়ার, শাপলা চত্বর, কলেজ গেট, স্বনির্ভর, জিরো মাইলে চেকপোস্ট বসিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। ১৪৪ ধারার মধ্যে চলাচলকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা।
এদিকে সাজেকে আটকে পড়া ৫১৮ জন পর্যটককে সেনা নিরাপত্তায় সাজেক থেকে খাগড়াছড়িতে নিয়ে আসা হয়। সোমবার দুপুরে তারা খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছান।
রোববার সহিংসতায় মৃত্যু ও অবরোধে থাকলেও সোমবার কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি খাগড়াছড়িতে। কোথাও পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল রয়েছে। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে উপজেলায় অবরোধের সমর্থনকারীদের অবস্থান নেওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ বলেন, রোববার থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ১৪ জন আহত রোগীকে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে ১ জনকে রোববার রাতে চট্টগ্রামে রেফার করা হয়েছে। বর্তমানে ১৩ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া ৩ জনের মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে।
