|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নেত্রকোনার খালিয়াজুরিতে যুবলীগ নেতা মো. মাকসুদুর রহমান আট ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন। এ সময় তার বাম হাতে হাতকড়া ছিল। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। জানাজা শেষে তাকে পুনরায় কারাগারে নেওয়া হয়।
মাকসুদুর রহমান খালিয়াজুরি উপজেলা সদরের বড়হাটি এলাকার বাসিন্দা মো. ফজলুর রহমানের ছেলে। তিনি খালিয়াজুরি উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেফতার হয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকালে মাকসুদুর রহমানের বাবা ফজলুর রহমান বার্ধক্যের কারণে নিজ বাড়িতে মারা যান। পরবর্তীতে পরিবারের আবেদনমতে জেলা প্রশাসন তাকে আট ঘণ্টার প্যারোলে মুক্তি দেয়। পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে করে তাকে মদন উপজেলার উচিতপুর ফেরিঘাটে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে খালিয়াজুরি কলেজরোডের ফেরিঘাটে আনা হয়। পরে পায়ে হেঁটে খালিয়াজুরি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয়। জানাজা শেষে বাবার লাশ পূর্ব খালিয়াজুরি আবোড়া কবরস্থানে দাফনের জন্য নেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, জানাজার সময় মাকসুদুরের দুই পাশে দুজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। তার বাম হাতে হাতকড়া লাগানো ছিল এবং একজন পুলিশ সদস্য দড়ি ধরে রেখেছিলেন। এছাড়া আশপাশে আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য অবস্থান করছিলেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৬ জুলাই খালিয়াজুরি উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে মজলু মিয়া নামের এক বিএনপি নেতা মামলা করেন। বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসানকে প্রধান আসামি করে ১৮৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ওই মামলার ১৬ নম্বর আসামি মাকসুদুরকে ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
খালিয়াজুরি থানার ওসি মুগবুল হোসেন বলেন, জানাজার সময় আসামির এক হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। তিনি বন্দী। নিরাপত্তার কারণে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

-68deb07d7bb04.jpg)