রায়পুরা ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন দেশ-বিদেশের ৭০০ দৌড়বিদ
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
‘রান ফর বাংলাদেশ, রান ফর হেলথ’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে নরসিংদীর রায়পুরায় শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ‘রায়পুরা ম্যারাথন’ প্রতিযোগিতা। দেশ-বিদেশের সাত শতাধিক দৌড়বিদের অংশগ্রহণে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ভোর ৫টায় উপজেলা চত্বরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে এ ম্যারাথন শুরু হয়।
রায়পুরা উপজেলা প্রশাসন ও রায়পুরা রানার্স কমিউনিটির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় ৪টি ক্যাটাগরিতে শিশু থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ—সব বয়সি নারী-পুরুষ অংশ নেন। এর মধ্যে রয়েছে— ফুল ম্যারাথন (৪২ কিমি): ১৮০ জন, হাফ ম্যারাথন (২১ কিমি): ১৮৫ জন, ১০ কিমি দৌড়: ৩৫০ জন নারী-পুরুষ, শিশুদের ৫০০ মিটার দৌড়: ৩০ জন প্রতিযোগী।
দৌড়বিদরা নরসিংদী-রায়পুরা আঞ্চলিক মহাসড়ক ও গ্রামের মেঠোপথ ধরে হালকা কুয়াশা ও শীতল বাতাসে গ্রামীণ সৌন্দর্যের মাঝে প্রতিযোগিতা শুরু করেন। এ সময় সড়কের দুপাশে উৎসুক দর্শকের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতিযোগিতা নির্বিঘ্ন করতে ভোর ৪টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্ধারিত এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে ম্যারাথনের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বাংলাদেশ জ্বালানি খনিজ মন্ত্রনালয়ের চেয়ারম্যান সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম, পিপিএম, রায়পুরা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বায়েজিদ বিন মনসুর, রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা, রায়পুরা থানা অফিসার ইনচার্জ আদিল মাহমুদ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়াটসন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহসম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল আমিন ভুইয়া রুহেল, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান খোকন।
অতিথিরা বলেন, এ আয়োজন শুধু রায়পুরার নয়, বরং বাংলাদেশের জন্যই এক গর্বের বিষয়। আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রায়পুরা বিশ্ব দরবারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে।
প্রতিযোগিতা ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক এবং দেড় শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য (পুলিশ, আনসার ও গ্রামপুলিশ) নিয়োজিত ছিলেন। পাশাপাশি চিকিৎসা সহায়তায় একটি অ্যাম্বুলেন্স ও বিশেষ মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রাখা হয়।
দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতার সমাপনীতে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ক্রেস্ট, মেডেল, সনদ ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
