Logo
Logo
×

সারাদেশ

জনবল সংকটে স্থবির কালিয়া এলজিইডি অফিস

Icon

নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম

জনবল সংকটে স্থবির কালিয়া এলজিইডি অফিস

কালিয়া উপজেলা

নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কার্যালয়ে তীব্র জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় অফিসের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের তদারকি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

কালিয়া উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, কার্যালয়টিতে অনুমোদিত পদসংখ্যা ২১ হলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ১০ জন। ৭-৮ বছর ধরে উপজেলা প্রকৌশলীর গুরুত্বপূর্ণ পদটি শূন্য রয়েছে। 

সহকারী উপজেলা প্রকৌশলী প্রণব কান্তি বল তিন বছর ছয় মাস অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার পর চলতি বছরের জুন মাসে অন্যত্র বদলি হয়েছেন। ফলে উপজেলা প্রকৌশলী ও সহকারী উপজেলা প্রকৌশলী-এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদই এখন শূন্য।

বর্তমানে এ জেলার লোহাগড়া উপজেলা প্রকৌশলী কাজী আবু সাঈদ মো. জসিম অতিরিক্ত দায়িত্বে কালিয়া অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

উপসহকারী প্রকৌশলী তিনজন থাকার কথা থাকলেও সাত বছর ধরে আছেন মাত্র একজন। নকশাকার (ড্রাফটসম্যান) পদটি শূন্য পাঁচ বছর, সার্ভেয়ার দুই বছর ধরে নেই, ছয় মাস ধরে শূন্য হিসাবরক্ষক পদও। 

এ অবস্থায় অফিসের সহকারী কর্মচারীদের দিয়েই হিসাবের কাজ সামলাতে হচ্ছে। নৈশপ্রহরী আদৌ ছিল কিনা, তা নিয়েও কর্মরতদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।

জনবল সংকটের কারণে অফিসের কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। ঠিকাদাররা টেন্ডারের বিল নিতে দিনের পর দিন অফিসে ঘুরছেন। গণমাধ্যম কর্মীরাও বিভিন্ন বিজ্ঞাপন বিলের জন্য বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। 

কর্মকর্তারা জানান, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্প, কালভার্ট, সড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজ সঠিকভাবে মনিটরিং করা সম্ভব হচ্ছে না।

স্থানীয় ঠিকাদার ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানরা জানান, প্রতিবছর কালিয়া উপজেলায় এডিবিসহ প্রায় ৫০টি উন্নয়ন কাজের টেন্ডার সম্পন্ন হয়। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে বিল নিষ্পত্তিতে দেরি হওয়ায় ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। সরকারের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। তারা দ্রুত শূন্যপদগুলো পূরণের দাবি জানান।

অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী কাজী আবু সাঈদ মো. জসিম বলেন, জনবল সংকটের কারণে আমাদের বাড়তি সময় দিতে হচ্ছে। তবু সব কাজ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে। দ্রুত উপজেলা প্রকৌশলী, সহকারী উপজেলা প্রকৌশলী, উপসহকারী প্রকৌশলী ও হিসাব রক্ষকের পদে জনবল নিয়োগ হলে সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে এবং উপজেলার উন্নয়ন কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম