ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
একদিনের ব্যবধানে যশোরের বাজারে কাঁচামরিচে ‘আগুন’ লেগেছে। বাজারে মানভেদে কাঁচামরিচের দাম কেজিপ্রতি ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা দরে বিকোচ্ছে। কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে। ৩ অক্টোবরও বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা দরে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) যশোরের বড়বাজার, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বাজার, পালবাড়ী বাজার ঘুরে এই তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার লাগাতার বৃষ্টি, বাজারে দেশি কাঁচামরিচের ঘাটতি এবং শারদোৎসবে টানা ৫দিন দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় মূলত এই দাম বৃদ্ধি হয়েছে।
কৃষি বিভাগ বলছে, বাজারে দেশি কাঁচামরিচ উঠতে এখনো ১৫-২০ দিন লাগবে। সেই সময় অনেক কম দামেই ক্রেতারা কিনতে পারবেন।
শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড কাঁচা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী হায়দার আলী বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত আমরা ২৪০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি করেছি। আজ (শনিবার) পাইকারি কিনেছি ৩৮০ টাকা দরে। ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।
আরেক ব্যবসায়ী বলেছেন, বৃষ্টির কারণে মরিচের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় সরবরাহ নেই। যশোরের বাজার এখন পুরোপুরি আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছে।
অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ ক্রেতারা চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাজার করতে আসা গৃহবধূ নাসরিন বেগম বলেন, একদিনের মধ্যে দাম কীভাবে দ্বিগুণ হয়ে যায়? ৪০০ টাকা দিয়ে কাঁচামরিচ কেনা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য অসম্ভব। এখন কি মরিচ ছাড়া রান্না করতে হবে।
বাজার তদারকি কমিটির সদস্য ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোরের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান বলেছেন, আজ (৪ অক্টোবর) সকাল থেকে কাঁচামরিচের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সাধারণ বর্ষা মৌসুমে মরিচের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তবে অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধ মজুদ করে দাম বৃদ্ধি করছে কি না সেটিও তদারকি করা হচ্ছে।
এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, এ বছর জেলায় ৬৬৫ হেক্টর জমিতে কাঁচামরিচের চাষ হয়েছে। বৃষ্টিতে ক্ষেতের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে, ট্রানজিশন পিরিয়ড হওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। নতুন মরিচ বাজারে আসতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে। তখন মরিচের দাম আবার কমে আসবে।

