সিলেটে আ.লীগ নেতা গ্রেফতারের পর হামলায় ৫ পুলিশ আহত, আলফু কারাগারে
৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪১ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সিলেটের পাথর-বালু রাজ্য কোম্পানীগঞ্জের অঘোষিত তিন লর্ড আলফু, শামীম ও সাহাবুদ্দিন। সাদাপাথর লুটের ঘটনায় সাহাবুদ্দিনের পর গ্রেফতার হয়েছেন আব্দুল অদুদ আলফু মিয়া। তাকে গ্রেফতারের পর তার বাহিনীর উৎপাতের আশঙ্কায় জরুরি চেকপোস্ট বসায় পুলিশ; কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি খোদ চেকপোস্টে হামলা হয়। আহত হয় ৫ পুলিশ সদস্য।
এদিকে রোববার আদালতে হাজির করে গ্রেফতার আলফুর ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ, তবে শুনানি হয়নি। পরে আলফুকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রতন শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আব্দুল অদুদ আলফু মিয়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও আওয়ামী আমলে পাথর-বালু রাজ্যের লর্ড ছিলেন। সাদাপাথর লুটেও তিনি ও তার বাহিনী জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। গত শনিবার তাকে গ্রেফতারের পরদিনই পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, রোববার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চত্বরের সামনে থাকা ফাঁড়িতে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় একটি ট্রাক আটক করা হয়। এরপর আলফুকে রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়।
এর কিছুক্ষণ পর স্থানীয় ট্রাক ও বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি মাহফুজসহ দুইজন বাস শ্রমিক ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান। তারা চেকপোস্টে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত করেন, কাজে বাধা দেন এবং আটক ট্রাকটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ সময় ডিউটিরত পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
পুলিশের দাবি, হামলাকারীরা মূলত উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল অদুদ আলফু মিয়ার অনুসারী। আলফু মিয়া গ্রেফতারের প্রতিক্রিয়ায় তার অনুসারীরা এলাকায় নাশকতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এ কারণে উপজেলায় একাধিক স্থানে নিরাপত্তা জোরদার ও চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রতন শেখ বলেন, আলফুকে গ্রেফতারের পর তার বাহিনী এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এমন আশঙ্কা ছিল। এ কারণেই গ্রেফতারের পরপরই জরুরি চেকপোস্ট বসানো হয়েছিল। অবশেষে সেই চেকপোস্টেই হামলা চালিয়েছে। সেই কারণে এখনো এলাকায় তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সীমান্তঘেঁষা এলাকায় অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন দীর্ঘদিন ধরে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে আলফু, শামীম ও সাহাবুদ্দিন এই তিন লর্ড। সম্প্রতি এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর হলে ওই এলাকা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে তাদের বাহিনী।
