Logo
Logo
×

সারাদেশ

ব্যবসায়ীর কাছে কোটি টাকা চাঁদা দাবি, আত্মসমর্পণের পর ১ জন কারাগারে

Icon

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩২ পিএম

ব্যবসায়ীর কাছে কোটি টাকা চাঁদা দাবি, আত্মসমর্পণের পর ১ জন কারাগারে

চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি মামলায় মাজেদুল ইসলাম (৪৫) নামে এক আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোছলেম উদ্দিনের দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রোববার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মাজেদুলের পিতার নাম জাফর আহমদ। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগ্রঞ্জ বশিকপুরের বাসিন্দা।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মোছলেম উদ্দিন খাতুনগঞ্জের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। ব্যবসার পাশপাশি তিনি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত থেকে সমাজসেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। কিন্তু বিবাদীরা আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে  তার কাছ থেকে বিভিন্নভাবে ১ কোটি টাকা ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তারা নিজেদের চ্যানেল ২৪. টিভি, এশিয়া টভিসহ বিভিন্ন অখ্যাত অনলাইন পোর্টাল ও টিভির সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অপচেষ্টা করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চের বিভিন্ন সময়ে এসব ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এসব ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে আদালতে ইফতেখারুল করিম চৌধুরী ও মাজেদুল ইসলাম নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে গত ১৩ মার্চ  মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক সত্যজিৎ বড়ুয়া এ মামলার তদন্ত শেষে গত ১৫ জুলাই একটি মামলায় ইফতেখারুল করিম চৌধুরী ও মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই মামলায় মাজেদুল ইসলাম উচ্চ আদালতে জামিন নিতে গেলেও জামিন না দিয়ে তাকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। রোববার তিনি চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান। আদালত শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল গালিব যুগান্তরকে বলেন, ব্যবসায়ীর কাছে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা চাঁদাদাবির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পিবিআই দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর মধ্যে আসামি ইফতেখারুল করিম পলাতক রয়েছেন। মাজেদুল ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম