দোহারে অসহায় অন্ধ ব্যক্তির জমি দখলের অভিযোগ, ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন
যুগান্তর প্রতিবেদন, নবাবগঞ্জ, ঢাকা
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০৫ এএম
দোহার প্রেস ক্লাবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকার দোহার উপজেলায় অসহায় অন্ধ পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে দোহার প্রেস ক্লাবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
দোহার উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য আবু জুনায়েদ বিপ্লব, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মঞ্জুর এলাহি ও দলিল লেখক মশিউর রহমান উদ্যমের বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলনে পৈত্রিক জমি দখলের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মো. বাবু খানের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি মো. বাবু খান। আমি একজন অন্ধ মানুষ। আমার উপজেলার মধুরচর মৌজায় গান্ধী আশ্রমের সাথে ১৯৬৩ সালে ২৩০৪ নং দলিল মূলে রেজিষ্ট্রিকৃত আমার বাবা মৃত চান খানের ক্রয়কৃত ৩৫ শতাংশ জমি রয়েছে। সিএস খতিয়ান নং-১০৬, দাগ নং ৬৫৩, এসএ খতিয়ান নং- ১৩৭, দাগ নং- ১৮৪, ১৮৫, ১৮৬ এবং ১৮। আরএস খতিয়ান নং- ৩০, দাগ নং- ৩২৮, ৩২৯.৩৩০, ৩৩১, এবং ৩৩৯।
তিনি বলেন, উল্লেখিত জমিতে আমরা প্রায় ৬০ বছর ধরে ভোগ-দখলে আছি। কিন্তু এলাকার ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য আবু জুনায়েদ বিপ্লব, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মঞ্জুর এলাহি ও দলিল লেখক মশিউর রহমান উদ্যম এর যোগসাজসে আমাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধামকি, মিথ্যা মামলা এবং হামলার মাধ্যমে জমিটি তাদের নিজ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
বাবু খান বলেন, এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর এলাকার মুরুব্বিদের উপস্থিতিতে তারা কৌশলে ভিন্ন দাগের দলিল দেখিয়ে আমার জমিটি বল পূর্বক দখলে নেয়। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা ক্যাম্পের দারস্থ হই। কিন্তু মেজব (অব.) মঞ্জুর এলাহী তার সাবেক সামরিক পরিচয় প্রদানের মাধ্যমে প্রসাশনের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যার কারণে আমরা সকল প্রকার প্রশাসনিক সহযোগীতা থেকে বঞ্চিত হয়ে সম্পূর্ণ অসহায়ভাবে দিন যাপন করছি। আমি অন্ধ ব্যক্তি তাই কেউ আমার সহযোগীতা করলে তাকেও হুমকি-ধামকির শিকার হতে হয়। এমন ভীতিকর অবস্থায় আমিসহ আমার পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।
ভুক্তভোগী বাবু খানের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা বলেন, আমরা বার বার প্রশাসনের দারস্থ হলেও তারা কোনো সহযোগিতা করেননি। কিন্তু বিপক্ষ লোকজন ডাকলেই থানা প্রশাসন তাদের ডাকে সাড়া দেয়। তিনি আরো বলেন, থানায় গেলে তারা আর্মির কাছে যেতে বলেন। আবার আর্মির কাছে গেলে থানায় যেতে বলেন। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমাদের জমিটি বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

